• জুতো কই? খালি পায়ে মাথায় হাত পাক এমপি-দের
    এই সময় | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • ইসলামাবাদ: বর ও বরযাত্রীদের জুতো চুরি করে কনের বাড়ির লোকজনের লুকিয়ে রেখে দেওয়াটা এক ধরনের মজা। জুতো হারালো যাঁদের, তাঁদের বিড়ম্বনা বেশ কিছুক্ষণ ধরে উপভোগ করার পর কিংবা দাবি-আবদার মিটলে জুতো ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আবার কখনও কখনও বরপক্ষই নিজেদের দক্ষতায় খুঁজে পায় তাঁদের জুতো। কিন্তু পাকিস্তান পার্লামেন্টে ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লির সদস্য, সাংবাদিক এবং সংসদের কর্মীদের হারিয়ে যাওয়া জুতো কে ফেরাবে? তাঁরা নিজেরাই বা কী ভাবে খুঁজে পাবেন? কারণ, এ ক্ষেত্রে মজা করে লুকোনো নয়, তাঁদের জুতো চুরি গিয়েছে পার্লামেন্ট চত্বর থেকে। তাঁরা বুঝি প্রত্যেকে এখন হাঁকছেন, ‘ওরে আমার জুতো গিয়েছে চুরি!’তবে ইয়ার্কি করলে চলবে না। কারণ, শুক্রবারের ওই গোটা ঘটনাকে দেখা হচ্ছে নিরাপত্তায় বড়সড় গাফিলতি হিসেবে। ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লির স্পিকার সর্দার আয়াজ় সাদিক বিষয়টা জানা মাত্র পদক্ষেপ করেছেন, এই ব্যাপারে সবিস্তার রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে চোর বা চোরেরা কী ভাবে জুতো সরাতে পারল, সেটা ভেবে কূলকিনারা পাওয়া যাচ্ছে না। এই নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে পাকিস্তান পার্লামেন্টে।

    গত শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল পাকিস্তান পার্লামেন্টে হাউজ়ের মধ্যে মসজিদে নামাজে জড়ো হয়েছিলেন ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লির কয়েক জন সদস্য, সাংবাদিক ও পার্লামেন্টের স্টাফরা। তাঁদের জুতো মসজিদের বাইরে, দোরগোড়ায় রাখা ছিল। মনে করা হচ্ছে, যখন তাঁরা নামাজ পড়ছিলেন, সেই সময়টারই সুযোগ নেওয়া হয়েছে। নামাজের পর ওই মসজিদ থেকে বেরিয়ে তাঁরা দেখেন জুতো হাওয়া! হুলস্থূল পড়ে যায়। তাঁরা বিকল্প জুতো চাইলেও তখন আর কিছু করার ছিল না। খালি পায়েই তাঁদের সবাইকে চলে যেতে হয় যাঁর যাঁর কাজে।

    সূত্রের খবর, পার্লামেন্টের ওই জায়গায় যাঁরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সেই সময়ে দেখা যায়নি— চুরির সময় বলে যেটা অনুমান করা হচ্ছে, তখন।

    স্পিকারের নির্দেশে জয়েন্ট সেক্রেটারি অ্যাডমিন এবং সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস অনুসন্ধান শুরু করেছেন। চোর বা চোরেদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)