• হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়ে হতাশ শিলিগুড়ির অনামিকা রায়
    বর্তমান | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি ও রাজগঞ্জ: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গেল শিলিগুড়ির অনামিকা রায়ের। সোমবার আদালত ২০১৬ সালের প্যানেলের ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। সেই তালিকায় রয়েছেন অনামিকা রায়ও। এদিন চাকরি হারানোর খবরে স্বভাবতই হতাশ হয়ে পড়েন তিনি । তবে লড়াই থেকে সরে আসবেন না। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, এটা বিরাট ধাক্কা।

    এই পদে প্রথমে চাকরি পেয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ২০২২ সালে তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর তাঁর জায়গায় আদালতের নির্দেশে চাকরি পান শিলিগুড়ির ববিতা সরকার। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে এসএসসির কাছে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা বা প্রাপ্ত নম্বরের ভুল তথ্য দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ছিল। সেকারণে ওই চাকরি তাঁর প্রাপ্য বলে দাবি জানিয়ে আদালতের যান শিলিগুড়ির অনামিকা রায়। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর জয়ী হন অনামিকা। ববিতার চাকরি যায়। আদালতের নির্দেশে শিক্ষিকার চাকরি পান অনামিকা। শিলিগুড়ি লাগোয়া জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের হরিহর হাইস্কুলে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চাকরিতে যোগ দেন তিনি। কিন্তু আট মাসের মধ্যেই তাঁরও চাকরি গেল। 

    এদিন স্কুলে বসেই চাকরি হারানোর খবর পান অনামিকা। কিছুক্ষণের মধ্যেই শিলিগুড়ির পূর্ব বিবেকানন্দপল্লিতে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন বিধ্বস্ত অবস্থায়। তিনি বলেন, এ এক বড় মানসিক আঘাত। তবে বিচার ব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে। হরিহর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত পাল বলেন, অনামিকা রায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াতেন তিনি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যা নির্দেশ দেবে, সেভাবেই স্কুল চলবে। তাছাড়া আর বিশেষ কিছু বলার নেই।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)