• চাকরি বাতিল ইস্যুতে রাজ্যকে তোপ সেলিমের
    বর্তমান | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের রায় নিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা মুর্শিদাবাদের জোট প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। বাতিল হওয়ার চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। সোমবার হরিহরপাড়ায় নিজের কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচার করেন সেলিম। হাইকোর্টের রায় শুনে তিনি তড়িঘড়ি বহরমপুরে সিপিএমের জেলা কার্যালয়ে হাজির হন। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, যাঁদের চাকরি হয়েছে, তাঁদের চেয়ে দশগুণ বেশি লোক টাকা দিয়েছেন। যাঁদের চাকরি হয়নি তাঁদের বলছি, তৃণমূলের নেতাদের নামে এফআইআর করুন। নামপ্রকাশ করুন আর আমাদের দিন। তাঁদের ঘর ঘেরাও করুন। টাকা আদায় করতে হবে। যে শিক্ষকরা নিজের যোগ্যতায় চাকরি করেছেন, তাঁরা কেন টাকা ফেরত দেবেন? সরকার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। 

    মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সেলিম বলেন, এই পরিকল্পনা করা হয়েছে নবান্ন ও কালীঘাট থেকে। রূপায়িত করা হয়েছে তৃণমূলের দপ্তর থেকে। আমি একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলছি। এই রায় সুদূরপ্রসারী। আমার সবচেয়ে দুঃখ যে, আমাদের দেশের মানুষ চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন, চাকরি পাচ্ছেন না। বেকারি সর্বোচ্চ। দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত এই চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে আমরা তাঁদের পাশে ছিলাম। আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের ঝান্ডা নিয়ে সেখানে যাইনি। আজ যাঁরা শিক্ষকতা করছেন, যাঁরা নিজেদের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন বা পেতেন, তাঁদের সকলের চাকরি গেল কেন? সেলিম বলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশন সমস্ত অন্যায়টা করেছে। শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশনায় এসএসসি এই অন্যায় করছে। আসলে এই সরকার যা নিয়োগ করেছে সব দুর্নীতি করেই করেছে। সরকার সবসময় প্রমাণ লোপাট করতে চাইছে। হাইকোর্ট বারবার বলেছিল, যত লোকের চাকরি পাওয়ার কথা, তার চেয়ে বেশি লোক চাকরি করছে। সমস্ত তথ্য চাইলেও এসএসসি তা দিতে পারেনি। তারপর অযোগ্য লোকেদের নাম চাওয়া হয়েছিল। তাও দেওয়া হয়নি। বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, হাইকোর্টের রায় দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হচ্ছে। এই রায় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে না।
  • Link to this news (বর্তমান)