তাপপ্রবাহের মধ্যে ভোট গ্রহণ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন গঠন করল টাস্ক ফোর্স। যার প্রধান কাজই হলো, প্রত্যেক দফার ভোটের পাঁচ দিন আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও নির্বাচনী কেন্দ্রের আধিকারিকদের জানিয়ে সতর্ক করে দেওয়া।বিশেষ করে, তাপপ্রবাহ ও বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সম্ভাব্য মাত্রার পূর্বাভাস সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে ওই টাস্ক ফোর্স এবং সে সব জানিয়ে সতর্ক করবে। যাতে সিইও এবং প্রিসাইডিং অফিসাররা গরমে ভোটারদের কষ্ট কমাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেন এবং সেই সঙ্গে সুস্থ থাকতে পারেন নিজেরাও। সোজা কথায়, টাস্ক ফোর্সের কাজ হলো, এই তাপপ্রবাহের মধ্যে ভোটের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে মৌসম ভবন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ও স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় ঘটানো।
সোমবার ইন্ডিয়ান মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ডিজি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় দপ্তরের কর্তাদের নিয়ে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং দুই নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং সান্ধু ও জ্ঞানেশ কুমার দীর্ঘ বৈঠক করে এই টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রবল গরমের মধ্যে এ বারের লোকসভা ভোটের দ্বিতীয় পর্যায় শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল। সারা দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ওই দিন ভোট। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসন— রায়গঞ্জ, বালুরঘাট ও দার্জিলিং। কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যগুলোর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের বলা হয়েছে যেখানে ভোট হচ্ছে সেখানকার জেলাশাসক ও অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে জেনে নিতে হবে যে, বুথে পর্যাপ্ত পানীয় জল, পাখার ব্যবস্থা রয়েছে কি না।
রোদ এড়াতে শামিয়ানা টাঙাতে হবে। যাতে কোলের শিশুসন্তানকে নিয়ে মায়েরা ভোট দিতে এলে কিংবা প্রবীণরা ভোট দিতে এলে সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে পারেন। কমিশনের নির্দেশ পেয়েই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে দার্জিলিং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সেখানে বলা হয়েছে, মায়ের সঙ্গে আসা শিশুদের দেখভালের জন্য প্রতিটি বুথে এক জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। ভোট দিতে আসা কারও হিট স্ট্রোক বলে তাঁকে আগে ঠান্ডা জায়গায় শুইয়ে দিতে হবে, জল ঢালতে হবে মাথায়।