• Taiwan Earthquake 2024: পরপর ৮০ বার কাঁপল তাইওয়ান, সিরিজ ভূমিকম্পে তীব্র আতঙ্ক
    এই সময় | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • ভূমিকম্প যেন তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাইওয়ানকে। একের পর এক। সিরিজ ভূমিকম্পের কবলে পড়ল তাইওয়ান। সোমবার ২২ এপ্রিল রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৮০টিরও বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে। সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পনের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। ৯ মিনিটে প্রায় পাঁচ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে। চিনের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলটির পূর্বের হুয়ালিয়েন কাউন্টিতে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। পূর্ব উপকূল ছাড়াও রাজধানী তাইপে কেঁপে ওঠে। তবে এখনও পর্যন্ত বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতির বিষয় জানা যায়নি। সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে (ভারতীয় সময় রাত ১০টা) তাইয়ানের কম্পন অনুভূত হয়। সন্ধে থেকে মধ্যরাত অবধি প্রায় ডজনখানেক ভূমিকম্প অনুভূ হয়েছে তাইওয়ানে।গত ৩ এপ্রিল তাইওয়ানের ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সেই সময় মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১৪ জনের, আহত হন প্রায় ৭০০ জন। ওই ভূমিকম্পের পর অঞ্চলটিতে শতাধিক আফটার শক হয়। সেই সময় ক্ষতিগ্রস্ত একটি হোটেল ভবন হেলে পড়েছে সোমবারের ভূমিকম্পে। হুয়ালিয়েনের ফায়ার সার্ভিস বিভাগ সূত্রে খবর, আগে থেকে পরিত্যক্ত ছিল ভবনটি।

    দেখুন ভিডিয়ো

    সোমবার আতঙ্কের কম্পনে তাইপেতে এক হোটেলে ছিলেন এক পর্যটক। AFP-কে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান পর্যটক। বলেন, 'তখন হাত ধুচ্ছিলাম। মনে হল হঠাৎ টাল খাচ্ছি। মনে হল মাথা ঘুরছে। কোনও মতে রুমে গিয়ে দেখি কাঁপতে শুরু করেছে গোটা হোটেলটাই।' ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ তাইওয়ান। এই দেশ দু'টি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। সে কারণেই প্রায়শই ভূমিকম্প হয় এখানে। ২০১৬ সালে ভূমিকম্পের ক্ষত এখনও ভুলতে পারেনি এদেশ। সেবার ভূমিকম্পের মৃত্যু হয়েছিল ১০০ জনের। ১৯৯৯ সালে, তাইওয়ানে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ২৪০০ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ভূমিকম্পে ৫০ হাজার ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কম্পন-প্রবণ দেশ বলেই এখানকার বহুতল এবং বিভিন্ন ভবনগুলি যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে তৈরি করা হয়। সেগুলি তৈরিতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ম-রীতি মানা হয়। জনসচেতনতা প্রচারও চলে সেই সঙ্গে।

    নিজের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করেছেন জনৈক ব্যক্তি

    উল্লেখ্য, ২১ মার্চ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। সিকিম থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, এমনকী পড়শি দেশ ভুটানেও ভূমিকম্প হয়। অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম কামেঙ্গে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৭। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল। ভুটানেও ভূমিকম্প হয়, যার জেরে কম্পন অনুভূত হয় সিকিমে। মহারাষ্ট্রের হিঙ্গোলিতেও ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের তীব্রতা এখানেই সবথেকে বেশি ছিল।
  • Link to this news (এই সময়)