বুকে অসম্ভব যন্ত্রণা, হস্টেল রুমে সংজ্ঞাহীন! হার্ট অ্যাটাকে মৃত ২০ বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র
এই সময় | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
ফের হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু এক তরুণের। মাত্র ২০ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল হায়দরাবাদের এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। ২০ বছরের ইসলাভাত সিদ্দুর মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে কলেজ ক্যাম্পাসে।জানা গিয়েছেস হায়দরাবাদের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলেই থাকতেন ইসলাভাত সিদ্দু। গত রবিবার হস্টেলে রুমেই বুকে অসম্ভব যন্ত্রণা অনুভব করতে থাকেন তিনি। মুহূর্তে গলদঘর্ম অবস্থায় হয়। হস্টেলের রুমেই সংজ্ঞা হারান ওই ছাত্র। তড়িঘড়ি রুমমেটদের তৎপরতায় হস্টেল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা ইসলাভাত সিদ্দুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা যায়, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট থেকেই এই মর্মান্তিক ঘটনা।
ইসলাভাত সিদ্দুর দেশের বাড়ি নালগোন্ডা জেলার গুম্মাদাভেল্লি দেবারোনি ঠান্ডা এলাকায়। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়াশোনা করতে তিনি হায়দরাবাদে এসেছিলেন। সেখানে কলেজেরই হস্টেলে থাকতেন তিনি। ইতিমধ্যেই ইসলাভাত সিদ্দুর দেহ ওসমানিয়া হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এই প্রথম নয়। হার্ট অ্যাটাকে তরুণদের মৃত্যুর সংখ্যা সম্প্রতি বেড়ে গিয়েছে এ দেশে। গত বছর হায়দরাবাদেরই গুণ্ডলা পোচামপল্লী এলাকায় CMR ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক ১৮ বছরের পড়ুয়া কার্ডিয়ার অ্যারেস্টে মারা যান। কলেজ ক্যাম্পাসের করিডরে হাঁটতে হাঁটতে আচমকাই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিল সচিন নামে ওই পড়ুয়া। দ্রুত তাঁকে CMR হাসপাতালে নিয়ে যাওা হয়। কিন্তু, ততক্ষণে মৃত্যু হয় ছাত্রটির। এর আগে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে নাচানাচি করার সময় এক ১৯ বছরের তরুণ হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। একইভাবে ব্যাডমিন্টন খেলার সময় সংজ্ঞাহীন হয়ে মেঝেতে পড়ে যান আরও এক অল্পবয়সী ছেলে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। কোচিং ক্লাস চলাকালীন পড়ুয়ার হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঘটনার কথাও শোনা গিয়েছে সম্প্রতি। মধ্য প্রদেশের ইন্দোরের একটি কোচিং ক্লাসের মধ্যে এই ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র ১৮ বছর বয়সে পড়ুয়ার এই মর্মান্তির পরিণতিতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে পরিবার। হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু বিষয়টি যেন বিশ্বাসযোগ্যই ছিল না সুস্থ সবল পড়ুয়ারের পরিবারের লোকজনের কাছে। বেসরকারি কোচিং সেন্টারে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্ততি নিচ্ছিল সে। হার্ট অ্যাটাকে অকালেই ঝরে গেল প্রাণ।
সম্প্রতি একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ভারতে হৃদরোগে আক্রান্তের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে সবেচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন অল্প বয়সীরা। বে-হিসাবী জীবনযাত্রার পাশাপাশি মাত্রাতিরিক্ত চাপ অল্প বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগের প্রবণতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা।