অরবিন্দ কেজিরওয়ালের সুগার লেভেল আর সঙ্গে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা এনিয়ে তরজা তুঙ্গে। তবে শেষমেশ মিলল ইনসুলিন। সূত্রের খবর, রক্তে শর্করার মাত্রা ৩২০-তে পৌঁছে যাওয়ায় তাঁকে ইনসুলিন দেওয়া হয়েছে। সোমবার আপ সুপ্রিমো তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁকে ইনসুলিন দিচ্ছে না তিহাড় কর্তৃপক্ষ।কেজরিয়ালের দল আম আদমি পার্টির অভিযোগ করে, তিহাড় জেলে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। তিহাড় জেলে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে খুনের ষড়যন্ত্রও চলছে বলে অভিযোগ করেছে দল। কেজরির স্ত্রী সুনীতার অভিযোগ, জেলেই হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর অভিযোগ ছিল কেজরিওয়ালের প্রতিটি খাবারে নজরদারি চলছিল। সুগার রোগী হওয়ায় ১২ বছর ধরে ইনসুলিন নিচ্ছেন কেজরিওয়াল। তাঁর অভিযোগ সবটা জানা সত্ত্বেও কেজরিওয়ালকে ইনসুলিন নিতে দেওয়া হচ্ছে না জেলে।
তবে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ সব অভিযোগ অস্বীকার করে। জেল কর্তৃপক্ষের তরফে কেজরিওয়ালের অভিযোগ খারিজ করে জানানো হয়, AIIMS-এর চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে পরামর্শ নেওয়ার সময় তাঁদের তরফে কেজরিওয়ালকে ইনসুলিন দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়নি। এরপর রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টের তরফে এইমসকে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয় কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখাল জন্য। বিশেষ করে তাঁর ইনসুলিন নেওয়ার বিষয়টির উপর বিশেষ নজর দিতে বলা হয়। পাশপাশি হাইকোর্টের তরফে কেজরিওয়ালকে দেওয়া বাড়ির তৈরির খাবার ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তৈরি ডায়েট চার্টের মধ্যে অসঙ্গতির বিষয়টিও তুলে ধরে। সোমবার জেল সুপারকে লেখা একটি চিঠিতে কেজরিওয়ালকে জেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে মিথ্যা বলে দাবি করেন। চিঠিতে তিনি সাফ জানান, এমনটা নয় যে তিনি ইনসুলিনের প্রয়োজনীয়তার কথা জেল কর্তৃপক্ষকে কখনও জানাননি তিনি। চিকিৎসকরাও তাঁকে ইনসুলিন নিতে বারণ করেছেন, জেল কর্তৃপক্ষের এমন দাবি মিথ্যা।
কেজরিওয়ালের সুগার ও তিহাড় জেলের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক থামার কোনও লক্ষণ নেই। বিষয়টি নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছে দিল্লির বিজেপি প্রেসিডেন্ট বিজেন্দ্র সাচদেভা। তাঁর দাবি, আপ সুপ্রিমো আসলে লোকসভা ভোটের আগে এসব কার্যকলাপ করে মানুষের সহানুভূতি পেতে চাইছেন। তাঁর কথায়, 'নিঃসন্দেহে অরবিন্দ কেজরিওয়াল একজন ডায়াবেটিক রোগী। তবে তাঁর রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রক পরিস্থিতিতেই রয়েছে। কারণ উনি AIIMS-এর চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের সময় ইনসুলিনের দাবি করেননি।' প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে তিহাড় জেলে বন্দি অরবিন্দ কেজরিওয়াল।