• হাইকোর্টের রায়ে হঠাৎ ভোটকর্মী সঙ্কট, চিন্তার ভাঁজ কমিশনের কপালে
    বর্তমান | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের সোমবারের রায়ের প্রেক্ষিতে হঠাৎই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নির্বাচন কমিশনের কপালে। হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। আর এর ফলে কমিশনের হিসেবে রাতারাতি কমে গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার ভোটকর্মী। কারণ যাঁদের চাকরি গিয়েছে তাঁরা আর সরকারি কর্মচারী হিসাবে গণ্য হবেন না। ফলে তাঁরা কাজ করতে পারবেন না ভোটকর্মী হিসেবেও। 

    হাইকোর্টের নির্দেশের পরই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দপ্তর। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, হাইকোর্টের রায়ে কোপে পড়া কোনও শিক্ষক বা অশিক্ষক কর্মচারীর দ্বিতীয় দফা ভোটের ডিউটি থাকলে তা অবিলম্বে চিহ্নিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মীর জায়গায় সংরক্ষিত তালিকাভুক্ত কর্মীরা ডিউটি করবেন। এরপর ধাপে ধাপে পরের দফাগুলির জন্য পদক্ষেপ করা হবে। প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় পর্যায়ের পর, তৃতীয় দফার ভোটে এই তালিকা স্পষ্ট হতে পারে বলে মনে করছে সিইও দপ্তর। 

    মূলত জেলাশাসক বা ডিইওর রিপোর্ট না-পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি কমিশনের কাছে সম্পূর্ণ স্পষ্ট হবে না। তবে ঠিক হয়েছে, কোনও জেলায় এই সংক্রান্ত কোনও সমস্যা দেখা দিলে পাশের জেলা থেকে ভোটকর্মী এনে কাজ চালানো হবে। আবার কিছু কেন্দ্রে উদ্বৃত্ত ভোটকর্মী রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের দিয়েও এই শূন্যস্থান পূরণ করা হতে পারে।

    সাধারণত, এক একটি কেন্দ্রে মোট ৩০ শতাংশ ভোটকর্মী রিজার্ভে রাখা হয়। একটি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সমস্ত বুথের প্রতিটির জন্য চারজন ভোটকর্মী রাখা হয়। তার ৩০ শতাংশ ‘রিজার্ভ’ চিহ্নিত। কোনও সমস্যা হলে কাজে লাগানো হয় তাঁদের। এক্ষেত্রে সেই পন্থাই অবলম্বন করা হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)