• জ্বালানির বকেয়া মেটাতে উদ্যোগী কমিশন, ক্ষোভ কমল পাম্প মালিকদের
    বর্তমান | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভোটের কাজে বহু ক্ষেত্রেই স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি গাড়ি ব্যবহার করে রাজ্য প্রশাসন। সেই গাড়িগুলির জন্য জ্বালানি কেনা হয় মূলত ধারে। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও সেই টাকা মেটানো হয় না। এমনটাই  অভিযোগ পেট্রল পাম্পের মালিকদের। 

    ভোটের সময় প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। তাই এই অভিযোগ নিয়ে পাম্প মালিকরা দরবার করেন সরাসরি কমিশনেরই কাছে। তাঁদের দাবি ছিল, অবিলম্বে বকেয়া টাকা মেটাতে হবে, না-হলে প্রশাসনের গাড়িগুলির জন্য তাঁরা ধারে তেল বেচবেন না। প্রয়োজনে পাম্প বন্ধ করা হবে। অবশেষে তাঁদের দাবি মানতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। পেট্রল পাম্প মালিকদের দাবি, কমিশন বকেয়া টাকা মেটানোর কাজ শুরু করেছে। চলতি বছরের ভোটের টাকার বৃহত্তম অংশও অগ্রিম দেবেন তাঁরা।

    পাম্প মালিকদের অভিযোগ ছিল, বিডিও অফিস হোক বা থানা, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর প্রতিবছরই ভোটের সময় অনেক বেশি গাড়ি ব্যবহার করে। সেগুলির জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি পেট্রল পাম্পগুলি থেকে ধারেই কেনে তারা। গত বিধানসভা কিংবা পঞ্চায়েত ভোটে যে পরিমাণ তেল ধারে কেনা হয়েছে, সারা রাজ্যে তার অঙ্ক কয়েক কোটি টাকা। ডিলার পিছু বাকি রয়েছে ৩ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা! এমনটাই দাবি তাঁদের। 

    ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি প্রসেনজিৎ সেন বলেন, আমাদের অভিযোগগুলি জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। তাঁরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পরামর্শ দেন। সেইমতোই বৈঠক ছিল সোমবার। 

    কমিশনের কর্তারা আমাদের জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁরা বকেয়া মেটাতে দু’কোটি টাকা মঞ্জুর করেছেন। জুনের মধ্যে বাদবাকি টাকাও মেটানো হবে। চলতি ভোটে কেনা জ্বালানির জন্যও দেওয়া হবে ৭৫ শতাংশ টাকা অগ্রিম। জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। যেহেতু তাঁরা ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছেন এবং টাকা মেটানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন, তাই আমরা তেল বিক্রি না-করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছি।
  • Link to this news (বর্তমান)