• আদালতে ধাক্কা কেজরিওয়ালের, ডাক্তারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের আবেদন খারিজ
    বর্তমান | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • নয়াদিল্লি: প্রতিদিন ১৫ মিনিট ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। তবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নিয়মিত ইনসুলিন প্রয়োজন কিনা, সেবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি মেডিকেল প্যানেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া ডায়াবেটিসের রোগী কেজরিওয়াল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পাশাপাশি যাতে যথাযথ সুযোগ-সুবিধা পান, তার ব্যবস্থা করতে জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, জেলের মধ্যে তাঁকে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগে শুক্রবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি জানান, ডায়াবেটিসের রোগী হওয়া সত্ত্বেও জেল আধিকারিকরা গত একমাস ধরে তাঁকে ইনসুলিন নিতে দিচ্ছেন না।

    এরইমধ্যে কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্য নিয়ে আপ-তিহার জেল কর্তৃপক্ষের চাপানউতোর নয়া মোড় নেয়।  জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘বিস্ফোরক’ দাবি করে বসেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক চাপেই জেল কর্তৃপক্ষ তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে মিথ্যে বয়ান দিয়েছে তারা। পাশাপাশি, ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন তাঁকে ইনসুলিন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এনিয়ে জেল সুপারকে চিঠিও দিয়েছেন কেজরিওয়াল। 

    চিঠিতে কেজরিওয়াল লেখেন, খবরের কাগজে জেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পড়ে আমি মর্মাহত। তাঁরা সম্পূর্ণ মিথ্যে বয়ান দিয়েছেন। আমি প্রতিদিন ইনসুলিন চেয়েছি। দিনে তিনবার আমি গ্লুকোজ মিটার রিডিং দেখেছি, তখন সুগারের মাত্রা ৩২০ থেকে ২৫০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। তা আমি জেল কর্তৃপক্ষকে দেখিয়েছি। এইমসের চিকিৎসকরা কখনওই বলেননি যে, চিন্তার কিছু নেই। বরং তাঁরা কেস হিস্ট্রি দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান। আসলে রাজনৈতিক চাপের কাছেই মাথা নত করছে জেল কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে রবিবার তিহার জেলের সামনে ইনসুলিন হাতে বিক্ষোভে সামিল হন আপের নেতাকর্মীরা।
  • Link to this news (বর্তমান)