• কাশ্মীরে প্রার্থী দিতেই পারছে না বিজেপি
    বর্তমান | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কাশ্মীর পাল্টে গিয়েছে। লাদাখ হাসছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির পর কাশ্মীরের ভোলবদল হয়েছে বলে দাবি করেই চলেছেন মোদি-শাহরা। একই কথা বলা হচ্ছে লাদাখ নিয়েও। অথচ এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। তাহলে লোকসভা ভোটে কাশ্মীর এবং লাদাখে বিজেপির ভূমিকা কী হবে? কোনও উচ্চবাচ্য করতে পারছে না মোদির দল। 

    প্রশ্ন উঠছে, মোদি সরকার যদি সত্যিই কাশ্মীরে এবং লাদাখে উন্নয়নের জোয়ার নিয়ে এসেছে, তাহলে তাদের প্রতি মানুষের সমর্থন তো বেশি থাকবে। আর ভোটেই সেই প্রমাণ পাওয়া যাবে। তাহলে কেন এখানে প্রার্থী দিতে পারছে না বিজেপি। সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, বলেছেন, খুব শীঘ্রই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভার ভোট হতে চলেছে। কিন্তু লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী নেই কেন? জবাব দেননি তিনি। বিজেপি সূত্রের খবর, বারামুলা, শ্রীনগর, অনন্তনাগ-রজৌরি এই তিন লোকসভা কেন্দ্রে দল কোনও প্রার্থী দেবে না। এমনকী লাদাখেও প্রার্থী না দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের খবর, হারের আশঙ্কাতেই এই সিদ্ধান্ত। কাশ্মীর উপত্যকায় এখনও বিজেপির সংগঠন এতটা শক্তিশালী নয় যে, অনায়াসে স্থানীয় দলগুলিকে হারিয়ে দেওয়া যাবে। আবার লাদাখে সোনাম ওয়াংচুক এবং আরও একঝাঁক সংগঠনের কেন্দ্রবিরোধী আন্দোলন প্রবল আকার নিয়েছে। লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে সরব স্থানীয় মানুষ। একইসঙ্গে ষষ্ঠ তফসিলের দাবি করা হচ্ছে। বিগত এক বছর ধরে লাদাখে কেন্দ্রবিরোধী ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। নতুন কাশ্মীর এবং উন্নত লাদাখ উপহার দেওয়ার দাবি করা বিজেপি তাহলে এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লোকসভা ভোটে অংশ নিচ্ছে না কেন? প্রশ্ন উঠছে। জম্মু-কাশ্মীর বিজেপির কাছে বিষয়টি বেশ অস্বস্তিকর। দলের রাজ্য সভাপতি রবীন্দ্র রায়না বলেছেন, বৃহত্তর সিদ্ধান্তের জন্য কখনও সাময়িক কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়। আমরা প্রচার করব যাতে কাশ্মীরবাসী কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপিকে প্রত্যাখ্যান করে। সেক্ষেত্রে কাকে ভোট দিতে বলবে বিজেপি? রায়না বলেছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে। যদিও বিজেপি সূত্রের খবর, সম্ভবত কাশ্মীর ও লাদাখে প্রার্থী দেওয়া হবে না।  
  • Link to this news (বর্তমান)