• বাগদায় শান্তনুকে ঘিরে মহিলাদের বিক্ষোভ, অভিযোগ ওড়াল তৃণমূল
    বর্তমান | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: প্রচারে বেরিয়ে বাগদায় মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। গত পাঁচ বছরে সাংসদকে কেন এলাকায় দেখা যায়নি, কেন তিনি করোনা বা উমপুনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াননি—এসব প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের আরও অভিযোগ, এসব বিষয়ে প্রার্থীকে প্রশ্ন করা হলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন তাঁর সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীরা। এমনকী, তাঁদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হন। প্রথমে তাঁদের বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে দু’জনকে বনগাঁ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বাগদা পুরনো বাজারে। ঘটনার প্রতিবাদে নোনচেপোতা এলাকায় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপিও। বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, পুলিসের মদতে এই ঘটনা ঘটেছে।

    সোমবার সকালে বাগদায় বিজেপি প্রার্থীর ভোট প্রচারে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল সহ দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বাগদা পুরাতন বাজারে রাধাগোবিন্দ মন্দিরে পুজো দিতে যান শান্তনু। অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় কয়েকজন মহিলা প্রার্থীর কাছে জানতে চান, এতদিন কেন তাঁকে এলাকায় দেখা যায়নি। এসব নিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে ওই মহিলাদের বচসা বাধে। সেই সময় কয়েকজন মহিলাকে বিজেপি কর্মীরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা কাকলি দাস বলেন, ‘আমরা কয়েকটি প্রশ্ন করতেই মারধর শুরু করে দেয় ওরা।’ যদিও বাসিন্দাদের আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শান্তনুবাবু। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের কিছু লোকজন আমাকে প্রচারে বাধা দেয়। আমার গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। আমাদের বেশ কয়েকজনকে মারধর করে ওরা। কয়েকজন মদ্যপ অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে।’ পুলিসের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তাদের দাবি, পুলিস হামলার কথা আগে থেকেই জানত। তবু কোনও পদক্ষেপ করেনি।  এ বিষয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বনগাঁ লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে সাংসদকে এলাকায় দেখতে পাননি মানুষ। সেটাই সাধারণ মানুষ বিদায়ী সাংসদকে বলেছিলেন। তখন বিজেপির গুন্ডারা তাঁদের উপর আক্রমণ করে। এর সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই।’ বাগদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। 
  • Link to this news (বর্তমান)