Calcutta High Court News : ‘মুখ্যসচিব অপরাধের গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ’, শিক্ষা দুর্নীতির মামলায় মন্তব্য হাইকোর্টের
এই সময় | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিক্ষা সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় সিবিআই কনসেন্ট দেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সরকারি আমলা, আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্তের ব্যাপারে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল মুখ্য সচিবকে। বিচারপ্রক্রিয়া সংক্রান্ত এই রিপোর্টে খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট।বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এদিন বলেন, 'মুখ্যসচিব এই অপরাধের গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। নিজের দায়িত্ব পালন করতেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।' বিচারপতির প্রশ্ন, এবার কি ধরে নেব যারা গ্রেফতার হয়েছেন, তারা এতটাই প্রভাবশালী যে মুখ্যসচিবও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না? এরপরেই আগামী ২ মের মধ্যে তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান বিচারপতি।
রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, যেহেতু নির্বাচন চলছে, সেই কারণে আদর্শ আচরণ বিধি লাগু থাকায় লোকসভা নির্বাচনের পরে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নির্বাচন কমিশনের কি কোনও কিছু করার আছে এখানে? মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট এখানে কী ভাবে লাগু? দু’সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ মুখ্যসচিবকে।
পালটা, এজি কিশোর দত্ত জানান, আরো কিছুটা সময় নেওয়া হচ্ছে। পুরো বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হবে। শেষবারের মতো সময় দেওয়া হোক। জামিন, ট্রায়ালের পদ্ধতি মসৃন করার জন্যই এটা লাগবে। হাইকোর্ট জানায়, এই লোকগুলি এতটা গুরুত্বপূর্ণ যদি এটা কারচুপি হয় তাহলে কাল বলবেন, পাচঁ বছর অন্য কাজ আছে। শেষ বারের মতো জিজ্ঞেস করলাম। এর পর অবমাননার রুল জারি করতে বাধ্য হব বলে জানান বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
বিষয়টি নিয়ে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী আগেই বলেছিলেন, ‘এভাবে কি সত্যি তদন্তকারী সংস্থাকে কোন কাজ করতে পারবে? এই দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্তরা হয়ত সরকারি আধিকারিক বা মন্ত্রী ছিলেন।’ বিচারপতির কথায়, সেই অভিযুক্তদের জন্য রাজ্য চুপ করে বসে থাকবে? এর আগেও ৯ এপ্রিল মুখ্য সচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি। আদালত তখন জানায়, নির্বাচন চলছে বলে কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না, কারও বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে না। প্রশাসন চুপ করে বসে আছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। ফের রাজ্যের মুখ্যসচিবের রিপোর্টে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট।