Narendra Modi Muslim Comment : 'মুসলিমদের SC-ST কোটার সুবিধে দিতে চায় কংগ্রেস!' মোদীর মন্তব্যে ফের বিতর্ক
এই সময় | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
মঙ্গলসূত্র এবং দেশের সম্পদ নিয়ে মন্তব্যের পর ফের কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ নরেন্দ্র মোদীর। আবারও তাঁর মন্তব্য নিয়ে 'হেট স্পিচ'-এর অভিযোগ তুলল হাত শিবির।মুসলিম ইস্যুতে ফের সরব মোদীমঙ্গলবার রাজস্থানে নির্বাচনী জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'কংগ্রেস SC-ST সংরক্ষণ কমিয়ে তা মুসলিমদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে চাইছে।' ফের একবার এদিন তাঁর মুখে শোনা যায়, দেশের সম্পদ বিলিয়ে দেওয়ার কথা। তিনি বলেন, 'কংগ্রসকে ভোট দিলে ওরা কিছু নির্দিষ্ট মানুষের মধ্যে আপনার সম্পত্তি বিলিয়ে দেবে। এবার আপনারা ঠিক করুন, সেটি মেনে নেবেন কি না।'
বিগত দিন রাজস্থান থেকে বলা তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠার পরও নরেন্দ্র মোদী এদিন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুললেন। তিনি বলেন, 'দু'দিন আগে আমি এই রাজস্থান থেকেই বড় সত্য মানুষের সামনে তুলে ধরেছিলাম। কংগ্রেস ষড়যন্ত্র করে আপনাদের থেকে সম্পত্তি ছিনিয়ে নেবে। নির্দিষ্ট কিছু মানুষের মধ্যে সেই সম্পত্তি বিলিয়ে দেওয়া হবে। ওদের রাজনীতি আমি প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছি। তাই ওরা আমার উপর রেগে গিয়েছে। মোদীকে গালাগাল করতে শুরু করে দিয়েছে ওরা।'
কংগ্রেস সরকারের সমালোচনাএখানেই শেষ নয়, নির্বাচনী সভা থেকে নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, 'কংগ্রেস দলটি সংবিধান নিয়ে ছেলেখেলা করেছে। যখন সংবিধানের খসড়া তৈরি হয়েছিল তখন ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। যাতে SC, ST এবং OBC-দের নিরাপত্তা দেওয়া যায়। কিন্তু, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাঁর বার্তায় বলেছিলেন, মুসলিমদের দেশের সম্পদের উপর অধিকার সর্বপ্রথম। কংগ্রেস সর্বদাই ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে এসেছে। ২০০৪ সালে ওরা যখন ক্ষমতায় আসে, প্রথমেই SC/ST সংরক্ষণ কমিয়ে অন্ধ্র প্রদেশে মুসলিমদের সুবিধা দিতে চেষ্টা করেছিল। এটা ওদের পাইলট প্রজেক্ট ছিল। ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত অন্ধ্রে মুসলিমদের সংরক্ষণ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। যদিও আইন জটিলতায় এবং সুপ্রিম কোর্টের সচেতনতায় তাদের প্ল্যান সফল হয়নি। ২০১১ সালে কংগ্রেস এই প্রজেক্ট গোটা দেশে চালু করার চেষ্টা করেছিল। SC/ST এবং OBC-র সংরক্ষণ ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির জন্য অন্যদের দিয়ে দিতে চেয়েছিল কংগ্রেস।'
এদিকে, নরেন্দ্র মোদী এদিন অভিযোগ করেন, কংগ্রেস সরকারের আমলে হনুমান চালিশা পাঠ করাও অপরাধ হিসেবে ধরা হত। হনুমান জয়ন্তী পালন করতে দেওয়া হত না বলেও দাবি তাঁর।