এই সময়, দুর্গাপুর: নোংরা আবর্জনা ভরে গিয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এনআইটি) কলেজ ও হস্টেল চত্বর। বাথরুম ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন পড়ুয়ারা। গত চারদিন ধরে কলেজের সাফাইকর্মীরা কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভে নামায় এই পরিস্থিতি বলে জানা গিয়েছে।নির্দিষ্ট বেতন সমেত অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার দাবিতে চলছে বিক্ষোভ। গত তিনদিন কলেজের ভিতরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। সোমবার সকাল থেকে কলেজের মূল গেটের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে সাফাইকর্মীদের। তাঁদের অভিযোগ, ঠিকাদার সংস্থাকে সমস্যার কথা বলা হয়েছে। কিন্ত তাদের কোনও হেলদোল নেই।
জানা গিয়েছে, এনআইটি কলেজে ২০১ জন সাফাইকর্মী আছেন। প্রত্যেকে একটি ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কাজ করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে কলকাতার নতুন একটি সংস্থা কাজের বরাত পায়। সাফাইকর্মীদের অভিযোগ, নতুন সংস্থা বরাত পাওয়ায় পর থেকে গন্ডগোল শুরু হয়েছে।
বিক্ষোভকারী এক সাফাই কর্মী সুব্রত দাস বলেন, ‘চুক্তি মতো মাসে ২৬ দিন ডিউটি দেওয়া হচ্ছে না। তাই কম বেতন পাচ্ছেন কর্মীরা। কর্মীদের পিএফের টাকা এতদিন দুর্গাপুরের অফিসে জমা হতো। নতুন সংস্থা কলকাতার অফিসে টাকা জমা করছে। কোনও সমস্যা হলে কলকাতায় ছুটতে হবে।’
আর এক সাফাইকর্মী ঝুমা পাত্র বলেন, ‘ইএসআইয়ের কোনও সুবিধা পাচ্ছি না আমরা। পরিবারের লোকেরা অসুস্থ হলে তাঁদের চিকিৎসা করাতে পারব না। ঠিকাদার সংস্থাকে বলা হচ্ছে। কিন্তু তারা আমাদের কথায় কান দিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ করছি।’
এদিন সকাল থেকে কলেজের মূল গেটের বাইরে হাতে প্লাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে বসেন সাফাইকর্মীরা। এর আগেও কলেজে নানা সমস্যা হয়েছে। কিন্ত কলেজের বাইরে সাফাইকর্মীদের বিক্ষোভ এর আগে দেখা যায়নি। কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক পড়ুয়া বলেন, ‘হস্টেলের বাথরুম ব্যবহার করা যাচ্ছে না। নোংরা হয়ে আছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বেসিনে ময়লা জমে আছে। আর্বজনা ফেলার বিন উপচে পড়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।’
এদিকে, কলেজের এক প্রশাসনিক আধিকারিক শ্রীকৃষ্ণা রাই বলেন, ‘ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’ সাফাইয়ের কাজের বরাত পাওয়া সংস্থার ডাইরেক্টর শারদ ঝা-র বক্তব্য, ‘সংস্থার এক প্রতিনিধি দুর্গাপুরে কলেজে আছেন। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’