• ব্যাগে কিলবিল করছে ১০টি অ্যানাকোন্ডা, ভারতে ঢুকছিল, এয়ারপোর্টে চাঞ্চল্য
    Aajtak | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • একটি-দুইটি নয়। একসঙ্গে ১০টি অ্যানাকোন্ডা। তাই নিয়ে বিমানযাত্রা করছিলেন এক ব্যক্তি। ব্যাঙ্কক থেকে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন তিনি। বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১০টি ইয়েলো অ্যানাকোন্ডা নিয়ে ধরা পড়েন ওই ব্যক্তি। সূত্রের খবর, চেক-ইন ব্যাগেজে মধ্যে সেই সাপগুলি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

    এক্স-এ এক পোস্টে, বেঙ্গালুরু কাস্টমস বিভাগ জানিয়েছে, ব্যাঙ্কক থেকে আসা এই যাত্রীকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। 'অভিযুক্ত যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। বন্যপ্রাণী পাচারের ক্ষেত্রে কোনও রেয়াত করা হবে না,' এক্স-এ একটি পোস্টে লিখেছে বেঙ্গালুরু কাস্টমস।

    ইয়েলো অ্যানাকোন্ডা সাধারণত নদীর কাছাকাছি বন-জঙ্গলে থাকে। দক্ষিণ আমেরিকার প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া, ব্রাজিল, উত্তর-পূর্ব আর্জেন্টিনা এবং উত্তর উরুগুয়েতে পাওয়া যায়। 

    কিন্তু এই সাপ পাচার করে লাভ কী?
    চোরাবাজারে এই জাতীয় সাপের দাম লক্ষাধিক টাকা হতে পারে। ধনী ব্যক্তিরা অনেকে এই সাপ পোষেন। এর জন্য বাড়িতে ফাইবার গ্লাস দিয়ে বড় এনক্লোজার বানান। তাতে মাটি-খড়, একপাশে ছোট জলাধারের ব্যবস্থা থাকে। গিনিপিগ-ইঁদুর জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয়।
    আইন অনুযায়ী ভারতে বন্যপ্রাণীর ব্যবসা ও পাচার অবৈধ।

    গত বছর, বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের কাস্টমস অফিসাররা একটি শিশু ক্যাঙ্গারু সহ ২৩৪টি বন্য প্রাণীকে উদ্ধার করে। ব্যাঙ্কক থেকে এক যাত্রী সেগুলি পাচার করেছিল বলে অভিযোগ। প্লাস্টিকের বাক্সে দীর্ঘক্ষণ থাকায় শিশু ক্যাঙ্গারুটি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিল।

    কাস্টমস অফিসাররা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই ব্যক্তির লাগেজ তল্লাশি করে। সেখান থেকে অজগর, গিরগিটি, ইগুয়ানা, কচ্ছপ এবং অ্যালিগেটরও মেলে।
  • Link to this news (Aajtak)