জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) জীবন থেকে শান্তি শব্দটা বহুদিন ধরেই বেপাত্তা! রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) বদলে যবে থেকে তিনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) অধিনায়ক হয়েছেন, তবে থেকেই তাঁর জীবনে শনি নেমে এসেছে! তালিতে নয় তিনি এখন বাঁচেন গালিতে। গ্যালারির টিটকিরি আর বিদ্রুপ তাঁর মাথার বালশি আর কোল বালিশের মতো হয়ে গিয়েছে। এহেন হার্দিককে প্রায় প্রতিদিনই সমালোচিত হতে হচ্ছে। আর এটাই দস্তুর হয়ে গিয়েছেন। এই মুহূর্তে আইপিএলে লিগ তালিকায় সাতে মুম্বই। আট ম্য়াচের মধ্য়ে মাত্র তিনটি জয় পেয়েছেন হার্দিকরা। আইপিএলের যুগ্ম সফলতম ফ্র্য়াঞ্চাইজির অতীতের গরিমা হার্দিকের অধীনে একেবারে ম্লান হয়ে গিয়েছে। এবার হার্দিককে বিঁধে এক্স হ্য়ান্ডেলে নিজের মত জানালানে দেশের প্রাক্তন নক্ষত্র ইরফান পাঠান (Irfan Pathan)।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্য়ায়, জয়পুরের সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স মুখোমুখি হয়েছিল আইপিএলের ৩৮ নম্বর ম্য়াচে। মুম্বই ৯ উইকেটে ১৭৯ রান তুলেছিল। জবাবে রাজস্থান আট বল হাতে রেখে নয় উইকেটে হেসে খেলে ম্য়াচ বার করে নেয়। যশস্বী জয়সওয়াল ৬০ বলে ১০৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে একাই ম্য়াচ বার করে আনেন। হার্দিক এই ম্য়াচে সাতে নেমে ১০ বলে মাত্র ১০ রান করে আউট হয়েছেন। ওদিকে মাত্র দুই ওভার বল করে দিয়েছেন ২১ রান। এরপরই পাঠান সমাজমাধ্য়মের পাতায় লিখেছেন, 'হার্দিক পাণ্ডিয়ার মারার ক্ষমতা ক্রমেই পড়তির দিকে। ছবিটা বড় করে দেখলে তা সত্য়িই দুশ্চিন্তাজনক। ওয়াংখেড়েতে হার্দিক একরকম। তবে যে পিচে বোলাররা সাহায্য় পাচ্ছে সেখানে ওর জন্য় চিন্তা বাড়ছে...'। দেখতে গেলে হার্দিক যেন হারিয়ে গিয়েছেন। হার্দিক মানেই ভারতের হয়ে আইসিসি ট্রফিতে যাঁর চোখে পড়ার মতো পারফরম্য়ান্স। মিডল অর্ডারে বা ব্য়াটিংয়ের নীচের দিকে নেমে যিনি খেলার রঙ ঘুরিয়ে দিতে পারেন। বল হাতেও করেন কামাল। সেই হার্দিক দীর্ঘদিনই বেপাত্তা। আইপিএল শেষ হলেই ফের তোড়জোড় আরও একটা বিশ্বকাপের। এবার কুড়ি ওভারের মহাযজ্ঞ। হাতে আর বেশি দিন বাকি নেই। ১ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত আমেরিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুগ্ম ভাবে আয়োজন করবে টি-২০ বিশ্বকাপ। এখন দেখার হার্দিক আদৌ বিশ্বকাপের বিমানে উঠতে পারেন কিনা! চলতি আইপিএলে সর্বাধিক রানশিকারিদের তালিকায় হার্দিকের রোলনম্বর ৩৭! আট ম্য়াচে করেছেন মাত্র ১৫১ রান। বোলিংয়ের তালিকা বলছে তিনি রয়েছেন ৫৩ নম্বরে। আট ম্য়াচে এসেছে মাত্র চার উইকেট।