জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিন সাতেক আগের ঘটনা। ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens, Kolkata) মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালস (KKR vs RR, IPL 2024)। সেদিন ৫৬ বলে ১০৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন সুনীল নারিন (Sunil Narine)। ৮৯ মিনিটের তাণ্ডবলীলায় ১৩টি চার ও ছ'টি ছক্কা হাঁকালেন তিনি। ব্য়াট করেছিলেন ১৯৪.৬৪-এর স্ট্রাইক রেটে। যদিও সেদিন কেকেআরের বিশ্বস্ত যোদ্ধার সেঞ্চুরি মাঠে মারা গিয়েছিল। কারণ ৬০ বলে ১০৭ রানের ইনিংস খেলে রাজস্থানকে রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচ উপহার দিয়েছিলেন জস বাটলার। এই মুহূর্তে আইপিএলে 'সেকেন্ড বয়' কেকেআর (KKR)। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের শিষ্যরা সাত ম্য়াচে ১০ পয়েন্ট তুলে ফেলেছে। কেকেআরের সাফল্যের নেপথ্য়ে রয়েছে একাধিক ফ্য়াক্টর। তবে নারিন ফ্য়াক্টর অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। দারুণ ফর্মে রয়েছেন তিনি। কথা বলছে তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্য়ান্স। সাত ম্য়াচে ২৮৬ রান করে নিয়ে ফেলেছেন নয় উইকেট। দুয়ারেই বিশ্বকাপ। ১ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত বিশ্বযুদ্ধ চলবে আমেরিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। নারিনের ঘরের মাঠেই এবার কাপযুদ্ধ। এবার তিনি কি অবসর ভেঙে মেরুন জার্সিতে ফিরবেন? কারণ তিনি ফিরুক এমনটা চাইছেন অনেকেই। ২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আলবিদা বলেন নারিন। ২০১৯ সালের পর থেকে আর তাঁকে দেখা যায়নি দেশের জার্সিতে। জাতীয় দলে ফেরার প্রসঙ্গে নারিন এবার কথা বলেছেন। তিনি ছোট বিবৃতি দিয়ে জানান, 'বিনয়ের সঙ্গেই জানাচ্ছি যে, আজ আমি সত্যিই আত্মহারা। সম্প্রতি আমার পারফরম্যান্স নিয়ে অনেকে কথা বলেছেন। তাঁরা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন যে, আমার অবসর ভেঙে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা উচিত। আসলে অবসরের সিদ্ধান্তেই শান্তিতে আছি। আমার ফেরার দরজা বন্ধ। জুনে যে ছেলেরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলবে, আমি তাদের সমর্থন করব। যে ছেলেরা বিগত কয়েত মাস খুব কঠোর পরিশ্রম করেছে, তারা আমাদের অসাধারণ ফ্য়ানদের দেখিয়ে দিক যে, আমরা আরও একটি খেতাব জিততে সমর্থ। আমার শুভকামনা রইল।'নারিন ২০১১ সাল থেকে খেলছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তবে তাঁর কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন রাজস্থানের বিরুদ্ধে। তাও আবার ৩৫ বছর ৩২৬ দিন বয়সে। তিনি একজন বোলিং অলরাউন্ডার। ফলে সেঞ্চুরি সেভাবেও প্রত্য়াশিত নয় তাঁর থেকে। তবে তিনি যে ব্য়াটটিও অসাধারণ করেন। কোনও দিন ক্রিকেটের কোনও ফরম্য়াটে, তিন অঙ্কের রানের দেখা না পাওয়া নারিনের জন্য় গত ১৬ এপ্রিল তারিখটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। জাতীয় দলে তিনি না ফিরলেও, থেকে যাবে এই ইনিংস।