বিধান সরকার: "মাছের মাথা শুভ। আমারও খেতে ভালো লাগে।" প্রচারে বেরিয়ে দরদাম করে বাজার থেকে মাছের মাথা কিনলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় আজ ভোট প্রচারে বেরিয়ে জনসংযোগ করেন চুঁচুড়া রবীন্দ্র নগরের স্টেশন বাজারে। তখন সেই বাজার থেকেই দরদাম করে মাছ কেনেন তিনি। লকেট বলেন, "বাঙালির মাছ ভাত ছাড়া চলে না। মাছের মাথা শুভ জিনিস হয়। অন্নপ্রাশন থেকে জন্মদিন, বিয়েবাড়ি সবেতেই মাছের মাথা লাগে। সেই জন্য মাছের মাথা কিনেছি। আমারও খেতে ভালো লাগে। দরদাম করে ১০ টাকা কম দিয়েছি। ভালো লাগে দরদাম করতে। এটা মেয়েদের মনের সন্তুষ্টি।"একইসঙ্গে এদিন লকেট এসএসসির ২৫ হাজার চাকরি বাতিল প্রসঙ্গেও তোপ দাগেন তৃণমূলকে নিশানা করে। লকেট বলেন, "যাদের চাকরি গেল, আর যারা চাকরি পায়নি, সব শেষ হয়ে গেল তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের কারণে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলার ভবিষ্যৎ। এই টাকা কোথায় গেছে? বলির পাঁঠা করা হচ্ছে বাকি লোকগুলোকে। পার্থ চ্যাটার্জি থেকে শুরু করে বিভিন্ন লোক, তারা বলির পাঁঠা হচ্ছে। এই টাকা উপর পর্যন্ত গিয়েছে। তদন্ত করুক। আসল মাথারা বেরিয়ে আসবে। আমরা চাই স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ হোক।আমাদের সরকার এলে কোনও টাকা পয়সা লাগবে না। যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পাবে। শূন্যপদ তৈরি করে চাকরি দেবে বলেছিল। কিছু করতে পারিনি। টাকা নিয়ে নিয়েছে তো।"
পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে নিরাপত্তারক্ষী বাড়ানো নিয়ে প্রচার কর্মসূচি থেকে লকেট কটাক্ষ করেন, "যাদের চাকরি গেছে তারা কালিঘাটে পৌঁছে যেতে পারে। তাই আগে থেকে নিরাপত্তারক্ষী বাড়ানো হচ্ছে আর বলছে খুন হয়ে যেতে পারি। এখন বলছে খুন হয়ে যেতে পারি। কেন বলছে? তাদের বাড়ি যদি হামলা হয়। বুঝতে পারছেন তো? এত লোকের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। ২৫ হাজার লোকের চাকরি গেছে। তারা তো কালীঘাটের দোরগোড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে। আওয়াজ তুলবে। এবার তখন কী করবে! ওই জন্য নিরাপত্তারক্ষী বাড়ানো হচ্ছে। আগে থেকেই বলছে খুন হতে পারি। চুরি করার পর তাকে যখন ধরতে যাবে তখন বলবে ষড়যন্ত্র! মানুষ এর জবাব ইভিএমে দেবে।" লকেট আরও বলেন, যারা টাকা নিয়েছিল তাদের থেকে টাকা বার করে হোক। সেই টাকা ফেরত দেওয়া হোক।"