• বহরমপুরে নির্বাচন পিছিয়ে যাক, মুর্শিদাবাদে রাম নবমীর অশান্তির ঘটনায় পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
    এই সময় | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ কলকাতা হাইকোর্টের। রাম নবমীর অশান্তির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই যে পর্যবেক্ষণের কথা জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব যে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়।’ আদালতের পর্যবেক্ষণ, যেখানে মানুষ ৮ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের উৎসব পালন করতে পারেন না, সেখানে এই মুহূর্তে ভোটের প্রয়োজন নেই।

    মুর্শিদাবাদে রামনবমীর দিন অশান্তির মামলায় এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রধান বিচারপতি। প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের ঘটনায় NIA তদন্ত চেয়ে দায়ের হয় মামলা। এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যকে হলফনামা আকারে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৬ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি রয়েছে। কেন্দ্র এবং রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাগুলি চাইলে হলফনামা দাখিল করতে পারেন। এই অশান্তির প্ররোচনা কে দিল ? - প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতির।

    Ram Navami 2024 : 'রামনবমী আটকাতে ষড়যন্ত্র করেছিল', তৃণমূলকে নিশানা মোদীর

    উল্লেখ্য, রাম নবমীর অনুষ্ঠানের দিন শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগর এলাকা। রেজিনগরের শান্তিপুর এলাকায় মিছিলের উপর আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই মিছিল যাওয়ার সময় বাড়ির ছাদ থেকে ইট ছোড়া হট বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। এমনকি, পাথর ছোড়ার পাশাপাশি বোমাবাজি করা হয় বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। পরিস্তিতি সামলাতে পুলিশকে ঐদিন র‌্যাফ নামাতে হয়। এই ঘটনায় কয়েকজন এত হন বলেও জানা গিয়েছে।

    গত বছর রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্রে করে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল হাওড়া ও হুগলি জেলার কিছু অংশে। এবার অশান্তির আশঙ্কা করে বাড়তি সতর্কতা নেওয়ায় হয়েছিল হাওড়া জেলায়। হাওড়া জেলার ঘটনায় এখনো কেন্দ্রীয় তদন্তকায় সংস্থা NIA তদন্ত চালাচ্ছে। তবে, এবার র্যাম নবমীর দিনে হাওড়া জেলায় সেরকম অশান্তির ঘটনা না ঘটলেও মুর্শিদাবাদ জেলায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ঘটনায় যে ভিডিয়ো ফুটেজ পাওয়া যায়, সেগুলো ইতিমধ্যে সংরক্ষণ করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল। পাশাপাশি এসপি মুর্শিদাবাদ ও সিআইডিকে এই ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। রাজ্যের বক্তব্য ছিল, পুলিশ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। অন্যদিকে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বক্তব্য, একটি নির্দিষ্ট ধর্ম সমর্পদায়কে লখ্য করে পরিকল্পনা করে হামলা চালানো হয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)