• কড়া নজর, ফাঁকিবাজির ক্ষমা নেই! স্কুলে অনুপস্থিত হলেই শিক্ষকদের একদিনের বেতন কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
    এই সময় | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের আরামের দিন শেষ! নয়া নিয়মের গুঁতোয় মাথায় হাত শিক্ষকদের। শিক্ষা দফতরের নয়া নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতিদিন ১০টি সরকারি স্কুল পরিদর্শন করবেন পরিদর্শকরা। কোনও শিক্ষক কর্মদিবসে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে একদিনের বেতন কেটে নেওয়া হবে। বর্তমানে স্কুলগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। গরমের ছুটিতে সরকারি স্কুলে বিশেষ ক্লাসে শিক্ষকদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।কথা হচ্ছে বিহারের। সেরাজ্য়ের শিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব পদে কে কে পাঠক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কড়া হাতে একাধিক নিয়ম এনেছেন। সেই সব নিয়ম না পালন করলেই বিপাকে পড়ছেন শিক্ষকরা। শিক্ষাক্ষেত্রে কোনও রকম অবহেলা চান না কে কে পাঠক। বরদাস্ত করেন না শিক্ষকদেরও কোনও প্রকার গাজোয়ারি। পড়ুয়াদের পড়াশোনায় যাতে কোনও খামতি না থাকে তা সর্বোতভাবে নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর কে কে পাঠক।

    কে কে শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে 'নিস্তার' নেই শিক্ষকদের।। গরমের ছুটিতেও শিক্ষকদের স্কুলে আসা বাধ্যতামূলক। গরমের ছুটিতেও বিহারের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্য়ালয়ে প্রতিদিন ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিশেষ ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। পড়াশোনায় যেসব ছাত্ররা দুর্বল তাদের বিশেষ ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের। ফলে প্রতিবারের মতো এবার কিন্তু আরামে ছুটি কাটানো কিংবা লম্বা ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানেও কাঁচি। জেলা শিক্ষা আধিকারিক সঞ্জয় কুমার এক চিঠিতে একথা জানিয়েছেন। স্কুলগুলির পরিদর্শনের দায়িত্বে থাকা কর্তা প্রতিদিন ১০টি স্কুল পরিদর্শন করছেন।

    হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শিক্ষকদের উপস্থিতির ছবি শেয়ার

    স্কুলে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের উপস্থিতির ছবি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করা হবে। এই সময়ের মধ্যে কোনও শিক্ষক বিনা নোটিশে স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে তা শিক্ষা বিভাগকে জানানো হবে। স্কুলে অনুপস্থিত থাকা শিক্ষকদের বেতন কমানোর সুপারিশ করা হবে। জেলা শিক্ষা আধিকারিক পরিদর্শনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরাও যেন আদেশ মেনে চলবেন। তা না হলে পরিদর্শন কর্মকর্তার একদিনের বেতনও কেটে নেওয়া হবে।

    পরিদর্শন কর্মকর্তা ক্লাসে যোগ দেবেন এবং পড়ুয়া প্রশ্ন করবেন

    জেলা শিক্ষা আধিকারিক সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, স্কুল পরিদর্শনের আগে পরিদর্শন আধিকারিক পড়ুয়াদের পাঠ্য বইগুলি নিজেরাও পড়ে নেবেন। দুর্বল পড়ুয়ারা কত দূর শিখল, বিশেষ ক্লাসে আদৌ তারা কতটা শিখতে পারছে তা যাচাই করতে পরিদর্শনকালে পড়ুয়াদের প্রশ্ন করতে পারেন তিনি। এতে যেমন একদিকে শিক্ষকরা স্কুলে সঠিক ভাবে ক্লাস নিচ্ছেন কিনা কিংবা তাঁরা ক্লাস নেওয়ার নামে ফাঁকি মারছেন কিনা সেই বিষয়টি ধরা পড়বে পাশাপাশি পড়ুয়ারাও বিশেষ ক্লাসে কতটা উপকৃত হচ্ছে সে সম্বন্ধেও সম্যক ধারণা মিলবে।
  • Link to this news (এই সময়)