ভগবান রামের ছবি দেওয়া প্লেটে বিরিয়ানি বিক্রির অভিযোগে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী এলাকার একটি দোকানে তুমুল গন্ডগোল। দিল্লির ঘটনা। বিক্রেতার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান হিন্দু সংগঠনের স্থানীয় সদস্যরা।ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। ওই দিন হিন্দু সংগঠনের কয়েকজন লক্ষ্য করেন ওই দোকানে রামের ছবি দেওয়া প্লেটে বিরিয়ানি বিক্রি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দোকানদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। অভিযোগ, রামের ছবি দেওয়া প্লেটে বিরিয়ানি পরিবেশন করা হচ্ছিল ক্রেতাদের। খাওয়ার পর তা ডাস্টবিনে ফেলে দিচ্ছিলেন ক্রেতারা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রামের ছবি দেওয়া বেশ কয়েকটি বিরিয়ানির প্লেট উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিরিয়ানি বিক্রেতাকে পুলিশ নিজের হেফাজতে নিয়েছে বলে কবর।
জানা গিয়েছে হিন্দু সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বিরিয়ানির দোকনে হাজির হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিরিয়ানি বিক্রেতার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার সময় বচসায় জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। গোটা এলাকা কার্যত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উত্তেজনার সেই ভিডিয়ো নেট দুনিয়ার ভাইরাল হয়। তবে ঘটনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি কোনও মতে সামাল দেয়।
দেখুন ভিডিয়ো
আপাতত বিরিয়ানি বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকটি প্লেটেই ছবি দেওয়া ছিল রামের, সব প্লেটে নয়। জাহাঙ্গিরপুরী থানার পুলিশ সূত্রে খবর, কেন রামের ছবি দেওয়া প্লেটে বিরিয়ানি বিক্রি করা হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখা হবে। নিজের ব্যবসা বাড়াতে বা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার জন্যই কি এই পদক্ষেপ করেছেন? সেই প্রশ্নও উঠছে। পুলিশ এই ঘটনার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় সেটাই দেখার।
প্রসঙ্গত, অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম সুইগির তরফে জানানো হয়েছে, রমজান মাসে রেকর্ড ৬০ লাখ বিরিয়ানি বিক্রি করেছে কোম্পানি। দাবি করা হয়েছে সুইগি সাধারণ দিনের তুলনায় রমজানে বিরিয়ানির জন্য ১৫ শতাংশ বেশি অর্ডার পেয়েছে। অনলাইন বিরিয়ানির অর্ডারের ক্ষেত্রে রমজান মাসে হায়দরাবাদ শীর্ষে। এই শহরে রমজান মাসে ১০ লাখ প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি হয়েছে। ৫.৩ লাখ প্লেট হালিমের অর্ডার পাওয়া গিয়েছে। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে এও বলেছে রমজান মাসে ইফতার টেবিলে হালিম এবং সিঙাড়ার মতো ঐতিহ্যগত খাবারে রমরমা বেশি ছিল। সুইগির তরফে আরও জানানো হয়েছে, সাধারণ দিনের তুলনায় রমজানে সারা দেশে জনপ্রিয় খাবারের অর্ডার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। রমজান মাসে বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায় ইফতারের অর্ডার।