'ফাঁসালে ভালো করে ফাঁসাতে পারতাম', বিজেপি প্রার্থীকে তোপ মমতার
এই সময় | ২৩ এপ্রিল ২০২৪
বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে প্রচার সভা করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভা মঞ্চ থেকেই নাম না করে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরকে নিশানা করলেন মমতা। একইসঙ্গে ফের একবার উত্থাপন করলেন গত বিধানসভা নির্বাচনে শীতলকুচিতে গুলি চালনার ঘটনার প্রসঙ্গ।সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে দেবাশিস ধর দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো তুলছেন সেগুলো আসলে তাঁকে ফাঁসানোর জন্য একটা চক্রান্ত তৈরি করেছিলেন তিনি। দেবাশিসের আরও দাবি, শীতলকুচির ঘটনায় তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আসল দোষী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর দেবাশিস ধরের সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'শীতলকুচির ঘটনা মনে আছে? গুলি করে মেরেছিল, ৪ জন সংখ্যালঘু, আর ১ জন রাজবংশী ভাইকে। তিনি আপনাদের এখানে প্রার্থী হয়েছেন। আমি কালকে দেখলাম, তিনি বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী আমায় ফাঁসিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাউকে ফাঁসানোর ক্ষমতা নেই। আপনি নিজের জালে নিজে জড়িয়েছেন। আফনার বিরুদ্ধে তো ডিপি চলছে। আপনাকে তো রাজ্য সরকার ক্লিয়ারেন্স দেননি। আপনি বিজেপি করছেন করুন, ভালো কথা, ভালো করে করুন, কিন্তু মনে রাখবেন যে কথাগুলো আপনি বলছেন... আমি আপনার বিরুদ্ধে এখানে কথা বলতাম না, যদি আপনি বিবৃতি না দিতেন। আমি ফাঁসালে তো ভালো করে ফাঁসাতে পারতাম। কিন্তু আমি এসব করি না, আমি মানুষের কাজ করি।'
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে মমতা আরও বলেন, 'বিএসএফ-এর জওয়ানরা গুলি চালিয়েছিল কার কথায়? শুধু এই প্রশ্নটা জিজ্ঞাসা করুন। ৫ জন যে মারা গেলেন, তাঁদের জীবনের দাম কি আপনার কাছে আছে? আজকে এখানে এসেছেন, দয়া করে কারও জীবন কাড়বেন না। পারলে জীবন দেবেন, বিজেপির রাজনীতি জীবন কাড়ার রাজনীতি।'
প্রসঙ্গত, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের সময় জোড়া পাটকিতে ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে গুলি চলার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় মৃত্যু ঘটে কয়েকজনের। গোটা ঘটনার বিস্তারিত অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিএপিএফ বাহিনী গুলি চালিয়েছে বলে সেই সময় জানায় কমিশন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিধানসভা নির্বাচনের সময় তোলপাড় পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। শুরু হয়ে যায় শাসক - বিরোধী তরজা। আর সেই সময় কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন দেবাশিস ধর।