পাঁচ মাসেই ভোলবদল। কংগ্রেসে যোগদান করেও দার্জিলিং আসনে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকে সমর্থনের দাবি তুলেছেন বিনয় তামাং। ফলও এল হাতেনাতে। আগামী ছয় বছরের জন্য সদয় কংগ্রেসের যোগদানকারী বিনয় তামাংকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। মঙ্গলবার, সকালে রাজু বিস্তাকে সমর্থনের ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে বহিষ্কার করল কংগ্রেস।কয়েক মাস আগেই দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে রাজনৈতিক চিত্র বদল করে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন বিনয় তামাং। তাঁকে এই লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী করা হবে বলে জল্পনা ছিল। যদিও, শেষমেশ তাঁকে এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়নি। এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী করা হয়েছে মুনিশ তামাংকে। এরপর থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয় বিনয় তামাং-এর। হঠাৎ, মঙ্গলবার সকালে রাজু বিস্তাকে সমর্থনের দাবি করে একটি ভিডিয়ো বার্তা দেন তিনি।
একটি ভিডিয়ো বার্তায় তিনি জানান, পাহাড়, সমতল এবং ডুয়ার্সের বাসিন্দাদের কাছে আমার আবেদন, আপনারা ভোট দিন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী রাজু বিস্তাকে। কারণ, কেন্দ্রে আবার বিজেপি সরকার গঠন হতে চলেছে। আর আমার আশা, ২০২৬এ পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। তাই বিজেপি প্রার্থীকেই ভোট দিন। তাঁর এই ভিডিয়ো বার্তার পরই নতুন করে জল্পনা শুরু হয়। যদিও, কংগ্রেস ত্যাগের কথা কিছু জানাননি তিনি।
এরপরেই সন্ধ্যায় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানেই তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামী ছয় বছরের জন্য তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। তবে, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আগেই ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন বিনিয় তামাং। এমনকি, প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তাঁর মতামত নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁকে তো প্রার্থী করা হয়নি, উপরন্তু, তাঁকে না জানিয়ে অন্য একজনকে প্রার্থী করায় ক্ষোভ দেখা যায় তাঁর কথায়।
উল্লেখ্য, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিনয় তামাং নিজের প্রভাব বৃদ্ধি করেছেন দীর্ঘদিন ধরেই। পরে ২০২১ সালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। এরপর হঠাৎ, লোকসভা নির্নাচন ঘোষণার কয়েক মাস আগেই কংগ্রেসে নাম কখন তিনি। এমনকি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীৰ রঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। এরপরেই দার্জিলিং কেন্দ্রে তাঁর প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার জল্পনা ছড়িয়েছিল।