‘নিজের খেয়াল রেখো’, স্ত্রীকে দেখেই ফুঁপিয়ে কান্না শেখ শাহজাহানের
এই সময় | ২৪ এপ্রিল ২০২৪
কথায় আছে, কুমিরের কান্না! এবার দেখা গেল, বাঘের কান্না। ‘সন্দেশখালির বাঘ’-এর শরীরী ভাষায় হঠাৎ পরিবর্তন। কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমা আদালতের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেল এক সময়কার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে।মঙ্গলবার তাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতের সামনে নিয়ে আসার সময় প্রিজন ভ্যানের পাশেই ছিল তার স্ত্রী এবং মেয়ে। মেয়ে ‘আব্বু’ বলে ডাকার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চোখ ছলছল চোখে দেখা গেল তাকে। মুখ ঘুরিয়ে চোখে আঙুল দিয়ে জল মুছতেও দেখা গেল শেখ শাহজাহানকে। শারীরিক ভাষায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে তার। জেলবন্দী থাকা অবস্থায় আজ, এক অন্য শাহজাহানকে দেখল মহকুমা আদালত চত্বর।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। রেশন দুর্নীতিতে তল্লাশির কারণে তার বাড়িতে যায় ইডি আধিকারিকরা। সেখানে তাঁদেরকে গ্রামবাসীদের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়। সেই ঘটনার পর থেকে প্রায় ৫৫ দিন বেপাত্তা ছিলেন এই নেতা। এরপর রাজ্য পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই।
Sandeshkhali Sheikh Shahjahan : 'সিবিআই তদন্ত হলে খুব ভালো হবে' মন্তব্য শাহজাহানের
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় শেখ শাহজাহানের শেখ আলমগিরকেও গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। রবিবার রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের করা হয়। এরপর তাকে গ্রেফতার করে ইডিও।পাশাপাশি, গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানের দুই শাগরেদ শিবপ্রসাদ (শিবু) হাজরা এবং দিদারবক্স মোল্লাকে। আজ, মঙ্গলবার শাহজাহান, আলমগির, শিবু, মাফুজার মোল্লা, জিয়াউদ্দিন, দিদার-সহ সকলকেই বসিরহাট মহকুমা আদালতে নিয়ে আসা হয়েছিল। যদিও, আদালতের এক কর্মীর মৃত্যু হওয়ার কারণে আদালতের কাজ বন্ধ ছিল।
শেখ শাহজাহানকে যখন প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়, তখন পাশ থেকে তার মেয়ে ‘আব্বু’ বলে ডেকে ওঠে, সেই সময় মুখ ফিরিয়ে হাত নেড়ে কিছু একটা বোঝাতে চান শাহজাহান। এরপর প্রিজন ভ্যানে তোলার পর তার স্ত্রী তসলিমা বিবি ভ্যানের জানলা দিয়ে ইশারা করেন। স্ত্রী এসে দাঁড়ানোর পর শেখ শাহজাহান তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নিজের দিকে খেয়াল রাখবে।’ ‘সময় মতো ওষুধ খাবে’ বলেও স্ত্রীকে বলতে শোনা যায়। এই কথার মাঝেই নিজের চোখ দিয়ে জল বের হয় শাহজাহানের। যে দৃশ্য এতদিন যাবৎ গোটা পর্বে অমিল বলেই জানাচ্ছেন অনেকে।