৪ মে থেকে ভাড়া বাড়ছে রেলে! রাজস্ব ঘাটতি পূরণের জন্যই 'অপ্রিয়' এই সিদ্ধান্ত...
২৪ ঘন্টা | ২৪ এপ্রিল ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার যাত্রীবাহী ট্রেনের ছাড় প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। ৪ মে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এতে যাত্রীবাহী ইন্টারসিটি, মেল ও লোকাল-সহ সব ধরনের ট্রেনের ভাড়াই বাড়বে। তবে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে বলে জানা গিয়েছে। না, এ খবর পশ্চিমবঙ্গের নয়, ভারতেরও নয়। এটি বাংলাদেশের খবর। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ছাড়-সুবিধা প্রত্যাহার ও তা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, রেলে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হয় না। কিন্তু এর বেশি ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তরে ছাড় রয়েছে। যেমন পরবর্তী ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভাড়ার উপর ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার ভ্রমণের ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যায় ২৫ শতাংশ। আর ৪০১ কিলোমিটারের উপরে ছাড় মেলে ৩০ শতাংশ। বাংলাদেশ রেলওয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক ছাড় দেওয়া হয়েছিল। ২০১২ সালে সেকশনভিত্তিক ছাড় রদ করা হলেও দূরত্বভিত্তিক ছাড় বলবৎ থাকে। সম্প্রতি যাত্রীবাহী ট্রেনগুলিতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু ওই দূরত্বভিত্তিক ছাড় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে রেলে প্রতি কিলোমিটারে মূল ভাড়া ৩৯ পয়সা। এর সঙ্গে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ও অন্যান্য উচ্চ শ্রেণির ক্ষেত্রে বিভিন্ন হারে টাকা যোগ হয়ে ভাড়া নির্ধারিত হয়। সঙ্গে যোগ হয় ভ্যাট। এভাবেই দাঁড়ায় মোট ভাড়া। এবার ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে বাড়তি ভাড়া যোগ করা হবে।বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র বলছে, রাজস্ব ঘাটতির কারণে সরকার বিভিন্ন খাত থেকে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে রেলের লোকসান বছরে ২০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি সামনে আসে। এই পরিস্থিতিতে ভাড়া না বাড়িয়ে শুধু ছাড়টুকু বাতিল করে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে রেল। এতে সংস্থাটি বছরে ৩০০ কোটি টাকা বাড়তি আয় করতে পারবে বলে মনে করছে।