কিরণ মান্না: ভোট দাঁড়ানের পর থেকেই একের পর এর বোমা ফাটিয়ে চলেছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়ে গতকালই বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার মঞ্চ বেঁধে ক্ষমা চাইতে হবে। মঙ্গলবার এক ধাপ এগিয়ে আরও কড়া ভাষায় মমতাকে নিশানা করলেন বিজেপি প্রার্থী। এবার শালীনতার সীমা ছাড়ালেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী।
মঙ্গলবার প্রচারে বেরিয়ে তমলুকের কাঁকটিয়া বাজারে কালীমন্দিরে পূজো দেন অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি রাজ্য সরকার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে নিশানা করেন। রাজ্য শিক্ষা ব্যবস্থাটিকে রাজ্য সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।সোমবার একটি চাঞ্চল্যকর রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়ে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। শুধু তাই নয়, ওইসব শিক্ষকদের বেতনের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ওই রায়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কান ধরে ওঠবোস করার নিদান দিয়েছিলেন অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।ওই হাজার হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়া নিয়ে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই রায়ের একটা প্রভাব ভোটে পড়া উচিত বলেই আমি মনে করি। কারণ পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে একেবারে দায়িত্ব নিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন মমতা। সব ছাত্র ছাত্রছাত্রীদের বাবা-মার কতো পয়সা নেই যে তারা লা মার্টিনিয়ারে গিয়ে পড়বে! তাদের সরকারি স্কুলেই পড়তে হবে। ওইসব স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থাটকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মমতা ধ্বংস করে দিয়েছেন। এনিয়ে মানুষ সচতেন হয়ে গিয়েছেন। আমি আশা করব এক একটা প্রভাব ভোটের উপরে পড়বে।যারা চাকরি দিয়েছিল তাদের কী করা উচিত? অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমার হাতে ক্ষমতা থাকলে আমি ধরে ধরে ল্যাম্প পোস্টে ঝুলিয়ে দিতাম। এই বিচার ব্যবস্থা কী করবে আমি জানি না।হয়তো কারগারে বন্দি করে দেখে দেবে। টাকা ফেরতের যে রায় দেওয়া হয়েছে সেক্ষেত্রে আমি বলল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতার ভাইপো, ভাইপো ব্যানার্জির কোমরে দড়ি দিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় নিয়ে আসুন। শোষণ করে তারা েকাটি কোটি টাকার সম্পতি করেছেন তাঁরা। তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে ওই টাকা আদায় করুন। তারপর সেই টাকা যেখানে ফেরত দেওয়ার সেখানে ফেরত দিন।