মেয়েকে দেখে ধরে রাখতে পারলেন না চোখের জল! কেঁদে ভাসালেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...
২৪ ঘন্টা | ২৪ এপ্রিল ২০২৪
বিধান সরকার: বসিরহাট আদালত থেকে আলিপুর প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়া সময় পরিবারকে দেখে শাহজাহানের চোখে জল। সন্দেশখালি মামলায় শাহজাহান-সহ ১২ জনের জেল হেপাজাতের রাখার নির্দেশ বসিরহাট আদালতের। শাহজাহান তার ভাই শেখ আলমগীর শিবু হাজরা ও দিদার বক্স মোল্লা এই চারজনকে আলিপুর প্রেসিডেন্সি জেল ও বাকি আট জনকে বসিরহাট জেলে নিয়ে যাওয়া হল।
৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের মারধোরের অভিযোগে বসিরহাট জেলা পুলিস ও ইডির দায়ের করা মামলায় শেখ শাহাজান, তার ভাই আলমগীর, তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা ও দিদার বক্স মোল্লা এই চারজনকে আলিপুর প্রসিডেন্সি জেল থেকে ও বাকি বসিরহাট জেলে থাকা আট জন। এই মোট ১২ জনকে আজ বসিরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক ১২ জনকেই ১৪ দিনের জেলা হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।বসিরহাট আদালত থেকে আলিপুর প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার সময় পরিবারকে দেখে তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় গাড়ির মধ্যে থাকা শাহজাহানকে চোখের জল মুছতে দেখা যায়। প্রিজন ভ্যানে বসে মেয়ের আব্বা ডাক শুনে এবং স্ত্রীর কান্না দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না ‘সন্দেশখালির বাঘ’। মুখ ঘুরিয়ে আঙুল দিয়ে নিজের কান্না মুছলেন। তার পর রুমাল চাপা দিলেন মুখে। প্রিজন ভ্যান থেকেই চোখ পড়ল স্ত্রী তসলিমা বিবির দিকে। নিজেকে তারপরে আর সামলাতে পারেননি শাহজাহান। প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় ইডি। সেখানে তাদের তাড়া করে জনতা। শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হন ইডি অফিসাররা। ইডি অফিসারদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মারধর করা হয় তাঁদের। মাথা ফাটে ইডি অফিসারদের। এমনকি ইডি অফিসারদের হাতে থাকে ফাইল, ল্যাপটপও ছিনতাই করে নেয়। সেই ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান।