এত শিক্ষক চলে গেলে পড়াশোনা কী করে হবে? চাকরি বাতিলে সুপ্রিম দরবারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ!
২৪ ঘন্টা | ২৪ এপ্রিল ২০২৪
শ্রেয়সী গাঙ্গুলি: শিক্ষক নিয়োগের রায় নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এত জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী হঠাৎ চলে গেলে স্কুল চালানো সমস্যা হয়ে যাবে। কীভাবে হবে পঠন-পাঠন? সেই প্রশ্ন তুলেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। উল্লেখ্য, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আগামিকালই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনও। ওদিকে এসএসসি চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন মূল মামলাকারীরা।গতকাল এসএসসি মামলার ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর হাইকোর্টের সেই রায়ে চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার শিক্ষক। এর বিরুদ্ধে আগামিকালই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনও। কমিশনের বক্তব্য, সিবিআই রিপোর্টে ৫০০০ নিয়োগে গরমিলের কথা বলেছিল। এখন দেখা যাচ্ছে যে, আদালত তার সঙ্গে আরও ১৭ হাজার যোগ করে পুরো প্যানেলটাই বাতিল করেছে। তাহলে কি সিবিআই-এর রিপোর্টের কোনও মূল্য নেই। প্রশ্ন তুলেছে কমিশন। কমিশনও নিজে যে পরীক্ষা করেছে, সেখানেও সিবিআই-এর সমান ক্ষেত্রেই গরমিল পেয়েছে। যে সংখ্যাটা প্রায় ৫ হাজারের কাছাকাছি। তাহলে বাকি প্রায় ১৭ হাজার নিয়োগপত্র পাওয়া প্রার্থীদের চাকরি কেন বাতিল করল আদালত? সেই প্রশ্ন তুলেই উচ্চ আদালতে যাচ্ছে কমিশন।মোট ৩৫০টি মামলার আবেদন। ২৮০ পাতার রায়ে ৩৭০টি প্যারাগ্রাফ রয়েছে। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে পুরো প্যানেল ‘নাল আন্ড ভয়েড’। পুরো নিয়োগ বাতিল করা হল। চাকরি বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে টাকা ফেরত পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ৪ মাসের মধ্যে সুদ সমেত বেতনের টাকা ফেরত পাঠাতে হবে। তবে সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। ২৩ লক্ষ মোট চাকরি পরীক্ষার্থী। ২০১৬ সালে ২৪,৬৪০ শূন্যপদে নিয়োগ এসএসসির। কিন্তু ২৫,৭৫৩টি নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়েছিল। অর্থাৎ শূন্যপদের থেকে ১১১৩ জনকে বাড়তি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। আর সেটাই এবার হাইকোর্টের কড়া নজরে। রাজ্যের কারা যুক্ত এই সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করায়, সেটা নিয়ে সিবিআইকে তদন্ত করতে হবে। নির্দেশ হাইকোর্টের। উল্লেখ্য, হাইকোর্টের রায় নিয়ে গতকালই চাকুলিয়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, এটা বেআইনি অর্ডার। তাই এটাকে চ্যালেঞ্জ করছি। এনিয়ে আমরা উচ্চ আদালতে যাচ্ছি। যাদের চাকরি বাতিল হল, তারা চিন্তা করবেন না। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। যতদূর যেতে হয় আমরা যাব। আরও ১০ লাখ চাকরি রেডি হয়ে রয়েছে।