• এক ধাক্কায় চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার, আগামিকালই বড় পদক্ষেপ স্কুল সার্ভিস কমিশনের
    ২৪ ঘন্টা | ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  • শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: হাইকোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার শিক্ষক। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আগামিকালই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। গতকাল এসএসসি মামলার ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এনিয়ে গতকালই সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    গতকাল ওই রায় নিয়ে গতকালই চাকুলিয়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরাও লড়ে যাব। যাদের চাকরি বাতিল করা হল তারা চিন্তা করবেন না। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। যতদূর যেতে হয় আমরা যাব। একজনকে দেখলেন না বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে গেল! তার অর্ডার ছিল এটা। সুপ্রিম কোর্ট এটা সেট অ্যাসাইড করে দিয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালত বলেছিল নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করে আলোচনা হোক। আকে কাকে নিয়ে করবেন নতুন ডিভিশন বেঞ্চ? বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। রায় নিয়ে আমি বলতে পারি, এটা আমাদের অধিকার আছে। গোটা রায়টাকেই আমরা চ্যালেঞ্জ করছি। কারণ, ২৬ হাজার ছেলেমেয়ে মানে দেড় লক্ষ পরিবার। আট বছর ওরা চাকরি করেছে। বলছে কিনা ৪ সপ্তাহের মধ্যে সব টাকা ফেরত দিতে হবে। এটা সম্ভব? আপানারা যারা চাকরি করছেন তাদের যদি সারা জীবনের টাকা ফেরত দিতে বলা হয় তাহলে তা ফেরত দিতে পারবেন? সবচাই তো সরকারি টাকায় চলেন। মনে রাখবেন গোটা দেশেই বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। আণরা যাদের চাকরি দিচ্ছি আপনারা তাদের চাকরি খেয়ে ফেলছেন। এই অর্ডারটাকে বলছি বেআইনি অর্ডার। তাই এটাকে চ্যালেঞ্জ করছি। এনিয়ে আমরা উচ্চ আদালতে যাচ্ছি। চিন্তা করবেন না শিক্ষকরা। আরও ১০ লাখ চাকরি রেডি হয়ে রয়েছে। এখন এমন হয়েছে যে বিজেপি পিল করলে বেল আর অন্য কেউ পিল করলেই জেল। এর জন্য দায়ী বিজেপি। কী করবেন, আমার বিরুদ্ধে ডেফমেশন করবেন করুন।  মানুষের কথা আমি বলব।  উল্লেখ্য, মোট ৩৫০টি মামলার আবেদন। ২৮০ পাতার রায়ে ৩৭০টি প্যারাগ্রাফ রয়েছে। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে পুরো প্যানেল ‘নাল আন্ড ভয়েড’। পুরো নিয়োগ বাতিল করা হল। চাকরি বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে টাকা ফেরত পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ৪ মাসের মধ্যে সুদ সমেত বেতনের টাকা ফেরত পাঠাতে হবে। তবে সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে যে ওএমআর শিট নষ্ট করার আগে স্ক্যান কপি রাখা হয়নি। ২৩ লক্ষ মোট চাকরি পরীক্ষার্থী। ২০১৬ সালে ২৪,৬৪০ শূন্যপদে নিয়োগ এসএসসির। কিন্তু ২৫,৭৫৩টি নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়েছিল। অর্থাৎ শূন্যপদের থেকে ১১১৩ জনকে বাড়তি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। আর সেটাই এবার হাইকোর্টের কড়া নজরে। রাজ্যের কারা যুক্ত এই সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করায়, সেটা নিয়ে সিবিআইকে তদন্ত করতে হবে। নির্দেশ হাইকোর্টের। বেআইনি নিয়োগ আটকাতেই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল বলেই আদালতের পর্যবেক্ষণ।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)