• ভাঙড়ে ভোটের উত্তাপ কম, নেই প্রচারও: মন বুঝে এগতে চাইছে সব দল
    বর্তমান | ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর আসনে ভাঙড়ের ফল যাবে কার দিকে, এই নিয়ে দোলাচলে সব রাজনৈতিক দল। প্রচারের দিক দিয়ে এই বিধানসভা কেন্দ্র বাকিদের থেকে পিছিয়ে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এখানকার মানুষের মন বুঝতে চাইছে সব পক্ষই। সেই বুঝে পা ফেলতে চাইছে। শাসকদল ক্ষমতা ও সমর্থন জাহির করতে সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আইএসএফ এখানে প্রার্থী দিয়ে দেওয়ায় বামেরা হতাশ। তারা এখন নতুন করে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে নেমেছে। পাশাপাশি এখানে সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে, সে কথা একপ্রকার মেনে নিয়েছে বিজেপি। তাই এই কেন্দ্র নিয়ে খুব একটা আত্মবিশ্বাস দেখা যাচ্ছে না তাদের মধ্যে। যদিও বিগত নির্বাচনগুলির পরিসংখ্যান বিজেপির উত্থানের ইঙ্গিতই দিচ্ছে। তবুও প্রচারে সে ভাবে দেখা যাচ্ছে না পদ্ম শিবিরকে। আর আইএসএফ এখনও প্রচারে নামতে পারেনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর সমীকরণ বদলেছে এই এলাকার। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগে পর্যন্ত যেখানে সিপিএম এবং আইএসএফ একসঙ্গে লড়াই করেছে সেখানে বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দল পরস্পরের প্রতিপক্ষ। সিপিএম মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে আইএসএফের সঙ্গে ভোট ভাগাভাগি না হয়। বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য এই নিয়ে প্রকাশ্যে আইএসএফ নেতৃত্বের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে যে খুব একটা লাভের লাভ হবে না সেটা একপ্রকার নিশ্চিত। তাই সিপিএমও ভাঙড় নিয়ে আলাদা করে ঘুটি সাজাচ্ছে। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি এলাকায় প্রচার আরও জোরদার করার ভাবনা রয়েছে তাদের। প্রার্থীর কথায়, আইএসএফের ভোট যাতে তৃণমূল ও বিজেপিতে না ভাগ হয়ে যায়, তার জন্য মানুষকে বোঝানো হচ্ছে।

    দেওয়াল লিখন আর ছোট ছোট কর্মীসভা করতে ব্যস্ত যাদবপুর আসনের আইএসএফ প্রার্থী নূর আলম। এখনও মাঠে নেমে প্রচার শুরুই করেননি তিনি। ফলে এলাকায় তাদের দলের কোনও কর্মসূচি না দেখতে পেয়ে সাধারণ মানুষও কিছুটা অবাক। তৃণমূল কংগ্রেসও এখনও সেভাবে প্রচারের ঝাঁঝ বাড়ায়নি। মাঝে মধ্যে শক্তি প্রদর্শনের ঝলক দেখিয়েছে মাত্র। ভোটের আগে ভাঙড়ে তাদের মূল প্রতিপক্ষ আইএসএফ এবং জমি রক্ষা কমিটিকে ভাঙতে মরিয়া। সম্প্রতি অনেকে শাসক দলে যোগদান করেছেন। এসবের মধ্যে ভোটের প্রচার বা সেই সংক্রান্ত কর্মসূচিও দেখা যাচ্ছে না। বিগত তিনটি  নির্বাচনে ক্রমশ ভোট বেড়েছে বিজেপির। হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার একটা বড় অংশের ভোট তাদের ঝুলিতে গিয়েছে। তারা এবারও সেই দিকে তাকিয়ে। সম্প্রতি তাদের কোনও কর্মসূচিও দেখা যায়নি এখানে। মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছে নেতৃত্ব। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বাকি ছ’টি বিধানসভা নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী তবে ভাঙড় নিয়ে আমাদের একটু বেশি নজর দিতে হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)