Pakistani Journalist: 'আরবান নকশাল' উচ্চারণ করতে গিয়ে ঘেঁটে ঘ! মোদীর সমালোচনা করতে গিয়ে হোঁচট পাক সাংবাদিকের
এই সময় | ২৪ এপ্রিল ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজস্থানেরনির্বাচনী জনসভায় রাজনৈতিক ব্যাঙ্গ করার সময় বলেন এদের ভোট দিলে জনগণের সম্পত্তি পুনঃবন্টন করার পরিকল্পনা করার অভিযোগ তোলেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এবং গ্র্যান্ড পুরনো দলটিকে ‘শহুরে নকশালদের’ সমার্থক হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। এই শব্দটি প্রায়শই বিজেপি নেতারা এমন ব্যক্তিদের বর্ণনা করতে ব্যবহার করেন যাদের তারা বাম মতাদর্শের সমর্থক বলে মনে করেন।কিন্তু পাকিস্তানি সাংবাদিক হামিদ মীর ‘আরবান নকশাল’ শব্দটিকে ‘আরব নাসাল’-এর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন। যার অর্থ আরব জাতি।
হামিদ মীরের অনুষ্ঠানের একটি ক্লিপে দেখা গেছে তাকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করতে। এরপরই হামিদের ভুল ব্যাখ্যার চক্করে ভিডিয়োটি ইন্টারনেটে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে যায়। নেটাগরিকদের যাবতীয় মনোযোগ আকর্ষণ করেছে ভিডিয়োটি।
একজন লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের শুধু আর্থিক সাহায্যেরই তীব্রপ্রয়োজন নেই, শ্রবণযন্ত্রেরও প্রয়োজন।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘পাকিস্তান প্রাসঙ্গিক থাকার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। আরব নাসাল ঠিক যা উপমহাদেশের মুসলমানরা নয়। তাদের একাধিকবার এটি বলা হয়েছে কিন্তু তাও তারা মানতেই চায় না।‘
আরেকজন লিখেছেন, ‘শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক হামিদ মীরের কাছ থেকে এটা আশা করিনি। এখন কোনও পাকিস্তানি সাংবাদিককে বিশ্বাস করা কঠিন।’
ইতিমধ্যেই মুসলিম নাগরিকদের উল্লেখ করে সম্পদ বন্টন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং তার বাইরে ভীষণাভাবে লোকজজনের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে। যদিও এব্যাপের মুখ খোলেনি ভারতীয় নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় একটি সমাবেশের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, যে কংগ্রেসের ইস্তেহারে বলা হয়েছে যে তারা মা ও বোনেদের মালিকানাধীন সোনার হিসাব করবে, সে সম্পর্কে তথ্য পাবে এবং তারপর সেই সম্পত্তি বিতরণ করবে।
তিনি বলেন, ’তারা কার কাছে বিতরণ করবে? মনমোহন সিংয়ের সরকার বলেছিল যে দেশের সম্পদের উপর মুসলমানদের প্রথম অধিকার রয়েছে।’
এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করা একটি ক্লিপ ব্যাপকভাবে শেয়ার হচ্ছে। ক্লিপটিতে হামিদ মীর বলেছেন, ‘একদিকে মোদীকে আরবি দেশগুলিতে স্বাগত জানানো হয়েছে, অন্যদিকে তিনি আরবদের আপমানজনক নামেও ডাকেন।’
এই বিষয়ে মীরকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তাঁর প্রাথমিক মূল্যায়ণে অটল ছিলেন। তিনি বলেন ’মোদী স্পষ্টভাবে অনুনাসিক শব্দটির ব্যবহার করেছেন, নকশাল নয়। দয়া করে আবার শুনুন।’
কিন্তু পাকিস্তানের অনেক অনুসারী ‘শহুরে নকশাল’ শব্দটি বোঝেননি। তারা তাদের আরব প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য মীরেরই সমালোচনা করছেন। এমনকি মীরের বিরোধীতকারীরা তাকে ‘ভাড়া করা পিটিআই এজেন্ট’ বলছেন। কারণ পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্য অন্যান্য দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা দরকার।