• West Bengal Teachers Recruitment Scam : ‘না মরে বেঁচে আছি’, চাকরি বাতিলের যুক্তি কোথায়? প্রশ্ন দেগঙ্গার শিক্ষিকা জয়িতার
    এই সময় | ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  • ‘আমরা তো না মরে বেঁচে আছি, এর থেকে আমাদের গুলি করে মেরে দিলে ভালো হত’, ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশে এমনটাই জানালেন এক চাকরিপ্রার্থী। হাইকোর্টের নির্দেশে ২৬ হাজার জনের তালিকা বাতিলের পর কার্যত দিশেহারা 'যোগ্য' চাকরি প্রার্থীরা। দেগঙ্গার এক স্কুল শিক্ষিকার প্রশ্ন, ‘কোন যুক্তিতে আমাদের নাম এই তালিকায় রাখা হল।’উত্তর ২৪ পরগনা দেগঙ্গার রায়পুর নিরামিষা আদর্শ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জয়িতা বসু। দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দা তিনি। গত সপ্তাহ পর্যন্ত তিনি স্কুলে শিক্ষকতার কাজ করে এসেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশের পর তাঁর নামের পাশে প্রাক্তন শিক্ষিকা শব্দটি বসাতে হচ্ছে। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের দিকেই তাকিয়ে আছে অন্যান্য যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের মতো।

    জয়িতা বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য, হাইকোর্টের রায়ে যাঁদের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে, তাঁদেরকে মেনশন করে দেওয়া হয়েছে, তাহলে তাঁরা অযোগ্য। বাকিদের তো টাকা ফেরত দিতে বলা হয়নি। তার মানে তাঁরা যোগ্য।’ এরপরেও তাঁদের বাতিলের তালিকায় নাম উঠল কী করে প্রশ্ন তুলেছেন এই চাকরি প্রার্থী। জয়িতা বসু নবম-দশম শ্রেণির প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁর দাবি, সমস্ত নথি, ওএমআর শিট সঠিক থাকলেও তাঁদের কেন বাতিল করা হচ্ছে?

    Calcutta High Court: ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল বাতিল, রায় শুনে কী বলছেন চাকরিপ্রার্থীরা?

    জয়িতা আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে সঠিক ওএমআর শিট আছে, তাহলে কীসের ভিত্তিতে আমাদের হাইকোর্ট বাতিল করল। আমরা তো মরে বেঁচে আছি। আমাদের যদি এর থেকে গুলি করে মেরে দিত, আমরা মুক্তি পেতাম। যে পার্টি, যে দল আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে এই অর্ডারে স্টে এনে দেবে, আমরা তাঁর পক্ষে, এটা আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য।’

    সোমবার এসএসসি-র ২০১৬ সালের শিক্ষক, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি নিয়োগের প্যানেল সম্পূর্ণভাবে বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেন। এরপর থেকেই উৎকণ্ঠায় ভুগছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের আদৌ চাকরি থাকবে কিনা সেই নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের একাংশ মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহিদ মিনারের তলায় অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার কথা ভাবা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেটা জানিয়ে দিয়েছেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেন, সেদিকেই তাকিয়ে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা।
  • Link to this news (এই সময়)