এবার ২০১৭-র TET-এ প্রশ্ন ভুল মামলায় বড় নির্দেশ, বিশ্বভারতীর সাহায্য চাইল হাইকোর্ট
এই সময় | ২৪ এপ্রিল ২০২৪
সোমবার SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের সমস্ত নিয়োগ বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালতে উঠেছিল ২০১৭ সালের TET প্রশ্ন ভুল মামলা। সংশ্লিষ্ট দিনে প্রশ্ন ভুল সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কিছু যুক্তি নথিবদ্ধ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। এই বিষয়ে বুধবার কি পদক্ষেপ করে সেই দিকে ছিল সব নজর।এদিন ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার প্রশ্ন ভুল মামলায় বিশ্ব ভারতী বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাহায্য চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। তার আগে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে ফের বিতর্কিত উত্তর খতিয়ে দেখে তাদের বিশেষজ্ঞদের মতামতও মামলাকারীদের ওই প্রশ্নের সঙ্গে বিশ্ব ভারতীয় উপাচার্যের কাছে পাঠাতে হবে। বাংলা, পরিবেশ বিজ্ঞান সব তিন বিষয়ে প্রশ্ন ভুল অভিযোগ নিয়ে উপাচার্য তাঁর পছন্দ মতো কমিটি গঠন করবেন। সেই কমিটি সব খতিয়ে দেখে এক মাসের মধ্যে সঠিক উত্তর কী হওয়া উচিত সেই বিষয়ে তাঁদের মতামত দেবেন। ১১ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে। সংশ্লিষ্ট কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, বুধবার এমনটাই নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।
মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম মঙ্গলবার দাবি করেছিলেন, প্রশ্ন ভুল যে ছিল সেই বিষয়ে নিশ্চিত। কী ভাবে ভুল প্রশ্নের নম্বর পরীক্ষার্থীরা পেতে পারবেন, সেই বিষয়টিই এখন দেখার।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের TET নিয়েও বিস্তর 'বিতর্ক' তৈরি হয়। এই পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে ২০১৬ সালের প্রাথমিকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই নিয়ে দুর্নীতি নিয়ে এখনও আদালতে মামলা চলছে। সেখানে ৬টি প্রশ্ন ভুলের প্রসঙ্গ উঠে আসে। এই নিয়ে বিস্তর আইনি লড়াই চলেছিল। এরপর যে প্রশ্নগুলি ভুল ছিল সমস্ত চাকরিপ্রার্থীকেই সেই প্রশ্নগুলির উপর ভিত্তি করে নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ TET-এ প্রশ্ন 'ভুল' নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, '২০১৪ থেকে শুরু করে ২০২২-এর মধ্যে যে কটি TET হয়েছে সেখানে প্রশ্ন ভুল নিয়ে মামলা হয়েছে।' এরই মধ্যে ২০১৭ সালের TET পরীক্ষা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এই নির্দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সোমবার SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।