• মিথ্যাচার করছেন মোদি, কংগ্রেসের পাল্টা প্রচার
    বর্তমান | ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নির্বাচনী প্রচারে রাজস্থানে গিয়ে তিনি যা বলেছিলেন, তা নিয়ে এখনও গোটা দেশে তোলপাড় চলছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি নিজের অবস্থান থেকে সরতে রাজি নন। অন্ধ মেরুকরণের রাজনীতি ও বিদ্বেষ ভাষণে অনড় প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবারও সাফ ইঙ্গিত দিয়েছেন, বেশ করেছি বলেছি। প্রয়োজনে আবারও বলব। এমনকী বিরোধীরা এই ইস্যুতে প্রবল আক্রমণ করায় তিনি মনে করছেন, ‘বিরোধীদের লঙ্কার জ্বলুনি হয়েছে।’ এদিন আবার রাজস্থানে গিয়ে সেকথা স্পষ্ট জানিয়েও এলেন মোদি।

    দু’দিন আগে রাজস্থানের বাঁশওয়াড়ায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশবাসীর সম্পদ কেড়ে নিয়ে ‘যাদের বেশি সন্তান হয়’, সেই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিলি করে দেবে। তারপর অবশ্য রাখঢাক না করে সরাসরি মুসলিমদেরই তিনি টার্গেট করেন। বলেন, ‘এমনকী মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্রও থাকবে না। সেটাও কেড়ে নেবে কংগ্রেস।’ প্রধানমন্ত্রী নিজেই দেশে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন এবং উন্নয়নের বার্তা ছেড়ে এবার সাম্প্রদায়িক প্রচার শুরু করেছেন বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস সহ গোটা ইন্ডিয়া জোট। নির্বাচন কমিশনের কাছেও নালিশ জানানো হয়েছে। কিন্তু বিরোধীদের আক্রমণ তথা বিতর্ককে আমল দেননি মোদি। এদিনও রাজস্থানের টঙ্কে নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, ‘রবিবার কিছু কথা বলেছি। আসলে কংগ্রেসের গোপন লক্ষ্য ফাঁস করে দিয়েছি। যা বলেছি, ঠিক বলেছি। আর সেটা শুনে কংগ্রেস ও বিরোধীদের মধ্যে লঙ্কার জ্বলুনি হয়েছে। দিশাহারা হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। তাই সর্বত্র এরা সর্বত্র মোদির নামে আক্রমণ করছে।’

    প্রধানমন্ত্রীর এদিনের ভাষণে এটা স্পষ্ট যে, তিনি ওই মন্তব্য ও এই ইস্যুতে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন অত্যন্ত বুঝেশুনে। তাই একইভাবে নিজের অবস্থান জিইয়ে রেখে এদিন তিনি আরও বলেন, ‘কংগ্রেস বলেছে যে, তারা অনগ্রসরদের থেকে সংরক্ষণ কেড়ে নিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিলি করবে। আপনাদের সম্পত্তি হরণ করার চক্রান্ত করছে কংগ্রেস। সংবিধান যখন তৈরি হয় তখন ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করা হয়নি। আপত্তি করা হয়েছিল। কিন্তু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন যে, দেশের সম্পদের উপর মুসলিমদের অধিকার সবার আগে।’ এখানেই শেষ নয়, টঙ্কের সভা থেকে মোদি এই অ্যাজেন্ডায় আরও একধাপ অগ্রসর হয়েছেন। সাফ জানিয়েছেন, ‘কংগ্রেসের শাসনে হনুমান চালিশা পাঠ করাও অপরাধ। এর আগে রাজস্থানে কংগ্রেস আমলে রামনবমীর অনুমতি দেওয়া হয়নি। এবার আমাদের সরকার আসায় শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমী হয়েছে।’
  • Link to this news (বর্তমান)