• ভোটদানের কথা শুনেই উজ্জীবিত সরকারি হোমের প্রবীণ আবাসিকরা
    বর্তমান | ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কেউ আছেন পাঁচ বছর, কেউ বা দশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বারুইপুরের ‘আপনজন’ হোমের আবাসিক। প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের অনেকেই পরিবার থেকে দূরে থাকেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও, এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা খুব বেশি একটা হোমের চার দেওয়ালের বাইরে বের হন না। তবে ভোট আসতেই তাঁরা উন্মাদনায় ফুটতে শুরু করেছেন। তাঁদের কাছে ভোট মানে আনন্দের উৎসব। সেদিন সদলবলে ভোট দিতে যাবেন তাঁরা। তাই এখন থেকেই খুশির আবহ সরকারি হোম আপনজনে।

    কয়েকদিন আগে বারুইপুর ব্লক প্রশাসনের অফিসাররা হোমে গিয়ে প্রবীণ নাগরিকদের ভোট নিয়ে সচেতন করেন। তখনই আবাসিকরা নিজেদের আনন্দ গোপন রাখেননি। তাঁদের কাছে একদিনের আউটিং বিরাট বড় ব্যাপার। হোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাঁরা বুথে গিয়ে ভোট দেবেন, তাঁদের অনেকেই ভালো করে হাঁটাচলা করতে পারেন না। তাঁদের বুথ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া ব্যবস্থা করা হবে।

    এই হোমে ৪৭ জন আবাসিক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আটজনের বয়স ৮৫ বছরের ঊর্ধ্বে। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, তাঁরা ইচ্ছা করলেই ঘরে বসে ভোটদান করতে পারেন। এই আটজনের মধ্যে ছ’জনের বাড়ি এই ব্লকের সাউথ গড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকায়। আপনজন হোম এই এলাকার মধ্যেই পড়ে। ফলে ওই ছ’জন ইচ্ছা করলে হোমে বসেই ভোট দিতে পারবেন। সমস্যা বাকি দু’জনকে নিয়ে। তাঁদের বাড়ি নাকতলা এলাকায়। সেখানকার ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে ওই দু’জনের। তাই তাঁদের বাড়িতে পাঠিয়ে ভোট দেওয়ার কথা ভাবছে হোম কর্তৃপক্ষ।  

    ব্লক প্রশাসনের অফিসাররা হোমের আবাসিকদের ভোট যন্ত্র নিয়ে সচেতন করেন। তাঁরা মূলত ভিভিপ্যাট নিয়েই বেশি কৌতূহলী ছিলেন। অফিসাররা ভোটারদের বলেন, ইভিএমে নির্দিষ্ট বোতাম টেপার পর, তাঁর ভোট ঠিক মতো পড়েছে কি না, তার জন্য চোখ রাখতে হবে ভিভিপ্যাটে। ভোটদানের বিষয়টি বুঝতে পারলেও কাকে ভোট দিতে হবে, সে ব্যাপারে অন্ধকারে আবাসিকরা। কারণ, তাঁরা জানেন না যাদবপুরে কে কোন দলের প্রার্থী। তাঁরাই ব্লকের অফিসারদের কাছে প্রার্থীদের নাম জিজ্ঞাসা করেন। আবাসিকরা এখন থেকেই ১ জুনের জন্য প্রহর গুনতে শুরু 

    করেছেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)