শ্রীকান্ত ঠাকুর: কলকাতার বেসরকারি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য। মৃত ছাত্রের ঘর থেকে পাওয়া সুসাইড নোটে অত্যন্ত তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করে গিয়েছে সে। তার সুইসাইড নোটে মৃত আদানন শামি, পটাশিয়াম সায়ানইড ব্যবহার করেছে বলে দাবি করেছে। আর এই লেখা পড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বুনিয়াদপুর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। আদানন শামির বয়স ১৯ বছর। বুধবার সকালে তার ঘরে ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় বাড়ির পরিচারক।
মৃত ছাত্র কলকাতার একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করত। মহাবাবুর রহমান পেশায় শিক্ষক। কলকাতায় পড়াশোনা করার সময় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় শামি। তারপর থেকে বাড়িতেই রয়েছে। গত চার মাস আগে বাড়িতে এসেছে। বুনিয়াদপুরে তার কোনও বন্ধুবান্ধব ছিল না বলে জানা গিয়েছে।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে অনলাইনের মাধ্যমে কিছুদিন আগে প্রায় পাঁচ লিটারের একটি জার অর্ডার করে। সেটি চলেও এসেছে। ওই স্কুল ছাত্রটি একটি সুসাইড নোট লিখে যায় এবং তাতে সে দাবি করেছে তার সমস্ত শরিরে পটাশিয়াম সাইনয়েড মাখা রয়েছে যা কেউ তাঁকে ছুঁলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।আজ সকালবেলা পরিবারের লোকজন দেখতে পায় নিচে তলার জিম রুমে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে তাঁর মৃতদেহ। পাশে কতগুলি বাক্স এবং কতগুলো তার হাতে লেখা কাগজ উদ্ধার হয়। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। পরবর্তীতে ওই সুসাইড নোট দেখে সবাই জানতে পারে পটাশিয়াম সাইনয়েড শরীরে মাখা রয়েছে। এতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পরিবারের লোকজন। পরবর্তী সময়ে বংশীহারি থানার পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় রশিদপুর গ্রামীন হাসপাতাল। মৃতদেহ ময়না ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বালুরঘাটে।