'লক্ষ্মী ভান্ডার' থেকে লক্ষ্মীলাভ করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে উধাও ঘরের লক্ষ্মীই, হতাশ স্বামী...
২৪ ঘন্টা | ২৪ এপ্রিল ২০২৪
প্রদ্যুৎ দাস: এ কী কান্ড! লক্ষীর ভান্ডারের লক্ষী লাভ করতে গিয়ে ব্যাংক থেকে ঘরের লক্ষীই উধাও! কেমন গোলমেলে লাগছে? জানলে হকচকিয়ে যাবেন আপনিও। লক্ষীর ভান্ডারের টাকা তোলার নাম করে ব্যাংকে গিয়ে উধাও গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির অন্তর্গত ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর আলতা গ্রামের ভাঙে অঞ্চল সংলগ্ন এলাকায়।জানা যায়, ওই গৃহবধূর নাম নিরুপমা রায়। বয়স আনুমানিক ৩০-এর কোঠায়। লক্ষীর ভান্ডারের টাকা তোলার নাম করে ব্যাংকের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়েই গায়েব গৃহবধূ।
বাড়িতে রয়েছেন স্বামী শ্যামল রায় এবং ছোট্ট দুই ফুটফুটে পুত্র সন্তান। মা-কে দীর্ঘক্ষণ চোখের সামনে না দেখতে পেয়ে কিছুক্ষণ পরপরই ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে দুই খুদে। মা কখন ফিরবে তার আশায় করুণ চোখে চেয়ে রয়েছে বাচ্চাগুলি।নিরুপায় স্বামী আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজির পর ধূপগুড়ি থানায় দ্বারস্থ হয়েছিলেন। খোঁজ নেওয়া হয়েছে নিরুপমার বাপের বাড়িতেও। কিন্তু, এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি গৃহবধূ নিরূপমা দেবীকে। এই ঘটনায় হতবাক এলাকার লোকজন।এমনিতেই নুন আনতে পান্তা ফুরোনো অবস্থা পরিবারের। কোনও রকমে স্ত্রী ও দুই বাচ্চাকে নিতে দিনযাপন করতেন শ্যামল বাবু। বিয়ের প্রায় ১১ বছর পর দুই ফুটফুটে বাচ্চা আর স্বামীকে রেখে এভাবে স্ত্রী উধাও হয়ে যাবেন এই কথা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি শ্যামল বাবু।স্ত্রীর চলে যাওয়ায় একপ্রকার দিশেহারা অবস্থা তার। দুই বাচ্চাকে কীভাবে মায়ের স্নেহ দেবেন, কীভাবেই বা বাইরে কাজ করতে যাবেন তা ভেবেই হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।পুলিসের দ্বারস্থ হওয়ার পরে স্ত্রী-এর খোঁজের জন্যে সাংবাদিকদেরও দ্বারস্থ হয়েছেন শ্যামল বাবু। তাঁর আশা যদি স্ত্রী-এর খোঁজ মেলে কোনও ভাবে। হয়তো একদিন ফিরবেন স্ত্রী।কিন্তু কবে নিরুপমা দেবী নিজের পরিবারের কাছে ফিরে আসেন সে দিকেই চেয়ে রয়েছে পুরো উত্তর আলতা গ্রামবাসী।