• West Bengal Teachers Recruitment Scam : ২০১৬-র SSC চাকরিপ্রার্থীদের তথ্য সংগ্রহ শুরু, প্রধান শিক্ষকদের বিশেষ ফর্ম পূরণের নির্দেশ
    এই সময় | ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  • একসঙ্গে ২৬ হাজার কর্মীর চাকরি বাতিল। তাতে, রাজ্যের স্কুলগুলিতে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে, আশঙ্কা স্কুল শিক্ষা দফতরে। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের তথ্য চেয়ে পাঠাল জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকেরা (ডিআই)। স্কুলের কাছে একটি নির্দিষ্ট ফর্ম পাঠানো হয়েছে, সেটা পূরণ করে সংশ্লিষ্ট জেলা ডিআইদের কাছে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের কাজে যোগদানের যাবতীয় তথ্য জানানোর জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকায় ওই বছরে নিযুক্ত সমস্ত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। স্কুলগুলিতে একটি গুগল ফর্ম দেওয়া হয়েছে, সেটা পূরণ করে শীঘ্রই জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ডিআইরা প্রধান শিক্ষকদের কাছে তালিকা চাইলেন, স্কুল পিছু কত জন শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর চাকরি যাবে ও কোন কোন বিষয়ে শিক্ষিক ছিলেন তাঁরা, সেই সমস্ত বিস্তারিত তথ্য।

    বিষয়টি নিয়ে আজকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই চাকরি কেড়ে নেওয়ার বিষয়। নিজেরা চাকরি দেয় না। আমার খারাপ লেগেছে, বারেবারে বলছে ২৬ হাজার জনকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। বলছে ১২ শতাংশ সুদ সহ বেতন ফেরত দিতে হবে। এই ২৬ হাজার ছেলে মেয়ে যাবে যাবে কোথায়? বাংলায় কি স্কুল চলবে না? শিক্ষকের চাকরি কি আর হবে না?’ প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘আমার হাতে এখনও ১০ লাখ চাকরি রয়েছে। সবই সরকারি দফতরের চাকরি। কিন্তু আমি চাকরি দিতে পারছি না। আদালতে সব আটকে যাচ্ছে।’

    যদিও, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে, আদালতের নির্দেশের পর চাকরি হারানো সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীর যাবতীয় তথ্য জোগাড় করে রাখছে শিক্ষা দফতর। সঠিক সময় যাতে ওই সব তথ্য কাছে লাগানো যায়, সেই কারণেই আগেভাগে সমস্ত তথ্য তৈরি রাখা হচ্ছে।

    SSC Recruitment Scam : যোগ্য হয়েও বাতিল! চাকরিপ্রার্থীরা এবার কী করবেন?

    পুরো বিষয়টি নিয়ে আপাতত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে শিক্ষা দফতর। স্কুলগুলি থেকে যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে সরকারি ভাবে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি, তবে, শিক্ষা দফতরের একাংশের মতে, কর্মহীন হয়ে যাওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের যাবতীয় তথ্য জেলার ডিআইরা সংগ্রহ করে রাখছেন। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরি শেষ পর্যন্ত চলে গেলে কী ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে, সে ব্যাপারে প্রস্তুতি সেরে রাখার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন অনেকে।

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে এসএসসির মাধ্যমে স্কুলে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেন। সেই রায় অনুযায়ী, ২৬ হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিল হয়ে যায়। এরপরেই গোটা রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই, হাইকোর্টের এই রায় নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন যোগ্য প্রার্থীরা। সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যে হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়েছে। চাকরি বাতিলের নির্দেশের বিরুদ্ধে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) করেছে এসএসসি
  • Link to this news (এই সময়)