‘কোনও গরিব লোক ওর কাছে এলে…’, ফের ‘মাটির ছেলে’ কেষ্টর প্রশংসায় মমতা
এই সময় | ২৪ এপ্রিল ২০২৪
বীরভূম জেলায় সামনেই লোকসভা নির্বাচন। অথচ, এবারের নির্বাচনে তার কোনও অস্তিস্ত্ব নেই। এক সময় এই জেলায় একাধিপত্য ছিল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। লোকসভার নির্বাচনী প্রচারে সেই ‘কেষ্ট’র পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বীরভূম জেলায় দুটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের জন্য আলাদা নির্বাচনী কমিটি তৈরি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। জেলার অন্যান্য নেতৃত্বরা এবারের নির্বাচন পরিচালনা করছেন। কিন্তু, কেষ্ট এবারে নেই! জেলার সংগঠনের অন্যতম কান্ডারী অনুব্রত মণ্ডলকে ছাড়াই এবার লোকসভায় লড়তে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এদিন, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অসিত মালের লোকসভার প্রচারে এসে তৃণমূল নেত্রীর মুখে উঠে এল অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গ।
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের জনসভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘কেষ্ট মাটির ছেলে আপনারা ভালোবাসতেন। ওর দোষ কী রয়েছে আমি জানি না। আইন আইনের পথে চলবে। তবে, আমি বলতে পারি, কোনও গরিব লোক ওঁর কাছে এসে দাঁড়ালে ও কাউকে কোনওদিন ফিরিয়ে দিত না। জেলাটা ছিল ওর হাতের মুঠোয়।’ মমতার কথায়, আমি জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করতে গিয়ে দেখেছি, কী ভাবে ও কাজ করতো। এরপরেই তিনি বলেন, ‘প্রতি নির্বাচনে ওকে নজরবন্দি করে রেখে দিত। চাঁদুর বাড়িতে রেড করল। যে কারও বাড়িতে রেড করল। দিয়ে বলছে হয় বিজেপিতে ভোট দাও না হলে ED-CBI-এর ভয় দেখাচ্ছে।’
মমতার নির্দেশে কোর কমিটিতে 'কামব্যাক' কাজলের
গতকাল, মঙ্গলবার বীরভূমের হাসনে সভা থেকেও কেষ্টকে নিয়ে মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের বলছি, দেখে নেবেন ভোট মিটলেই ওদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’ ভোটে যাতে অনুব্রত মণ্ডল কাজ না করতে পারে সেই কারণেই তাকে আটকে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেলার সংগঠন সামলানোর জন্য অনুব্রত মণ্ডলের উপরেই ভরসা রেখেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, গোরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি তিহার জেলবন্দী। এমনকি, তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও জেলবন্দী রয়েছেন। এমত, অবস্থায় জেলার অন্যান্য নেতৃত্বের উপরেই নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে, জেলা তৃণমূলের অন্দরে অনুব্রত মণ্ডলের খামতি রয়েই গিয়েছে বলে করছেন অনেকে। আগামী ১৩ মে ভোট রয়েছে বীরভূম এবং বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে। দুটি কেন্দ্র থেকেই তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছেন গতবারের জয়ী প্রার্থী অসিত মাল এবং শতাব্দী রায়।