এবার গরমে বিদ্যুৎ বাঁচানোর নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিন ধরেই দেদার আগুন ঝরাচ্ছে আবহাওয়া। এই অবস্থাতে অনেকেই হাঁসফাঁস করা পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে এসির উপর ভরসা রাখছেন। কেউ কেউ AC-র তাপমাত্রা ১৬-১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও নামিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু, ক্ষণিকের সুখ পেতে বড় বিপদ ডেকে আনছেন না তো তাঁরা? পরিবেশের উপর পড়বে না তো বিরূপ প্রভাব? এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা-চর্চা করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার এই নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে তিনি বলেন, 'আজ ৩১ মার্চ থেকে আমি বাইরে রয়েছি। রোজ মিটিং করছি। মাঝে একদিন রেড রোডে গিয়েছিলাম ইফতারের জন্য, আর একবার পুজোর জন্য গিয়েছিলাম। বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক আমার নেই বললেই চলে।’
তাঁর সংযোজন, ‘অনেকে বলে হেলিকপ্টার চড়ে আসা। ওই কপ্টারে একবার বসে দেখুন। আগুনের মতো জ্বলে। ওখানে কোনও ঠান্ডা নেই। টোটাল লু বইছে। হেলিকপ্টারটা রোদ্দুরে থাকা মানে মনে রাখবেন ৫০ ডিগ্রিতে আমায় আসতে হয়। এত তীব্র দহনের মধ্যে তিন মাস ধরে নির্বাচন কমিশন বিজেপিকে সন্তুষ্ট করতে মানুষকে কষ্ট দিয়ে ভোট করছে।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনা অনেকে জানেন না, অনেকে ১৭ চালিয়ে দেয় এসি মেশিনটা দার্জিলিঙে থাকবেন বলে, ১৮-য় চালিয়ে দেন। বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। আমি যে ঘরে থাকি সেখানে ব্যবহার করি না। আর বাইরে থাকলেও ২৭-এর নীচে চালাই না। আপনারা চালান কিন্তু, বিদ্যুৎ সঞ্চয় করুন। বিদ্যুৎ অপচয় করবেন না। বিখ্যাত গবেষকরা বলছেন ২৫-এর নীচে নামানো উচিত নয়। আর যত্রতত্র বিদ্যুৎ জলের অপচয় করলে কিন্তু ভাঁড়ার শেষ হয়ে যায়।’
এদিন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেন, ‘তাই মনে রাখবেন দেউচা পাঁচামি করছি এই কারণে যাতে ১০০ বছর মানুষ সস্তায় বিদ্যুৎ পায় এবং এর কোনও অভাব না হয়। বাংলা সারা দেশকে বিদ্যুৎ বিক্রি করবে, কারও কাছে আমাদের হাত পাততে হবে না।’
পাশাপাশি এদিন অনুব্রত মণ্ডলের প্রশংসা শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘কেষ্ট মাটির ছেলে আপনারা ভালোবাসতেন। ওর অগুণ কী রয়েছে আমি জানি না। আইন আইনের পথে চলবে। একটা গরিব লোক ওর কাছে দাঁড়াত ও কাউকে কোনওদিন ফিরিয়ে দিত না।’