পাঁচবারের সেরা সাংসদ, ৫৮ বছর বয়সে নেতা পেরোলেন ক্লাস টেনের গণ্ডি
এই সময় | ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শ্রীরঙ্গ বার্নে, পাঁচবার সংসদ রত্ন হয়েছিলেন। পেয়েছিলেন ‘সেরা সংসদ সদস্য’ পুরষ্কার। এছাড়া একবারনিজের রাজনৈচিক গুণেরকারণে পেয়েছিলেন মহা সংসদরত্নও। এতকিছু অর্জনের পরও পুনের মাওয়াল থেকে দু বারের সাংসদ শ্রীরঙ্গ বার্নের মনে ছিল চরম অনুশোচনা। আর তা হল উপযুক্ত পুঁথিগত বিদ্যার অভাব। দশম শ্রেণিতে তিনি ফেল করেছিলেন। ২০১৪ এবং ২০১৯ সলের হলফনামায়ও তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা সেই হিসাবেই উল্লেখ করা হয়েছিল।যদিও শুধুমাত্র অনুশোচনা করেই থেমে থাকেননি এই শিবসেনা নেতা। এরপর পাশ করেন এসএসসি পরীক্ষা। সোমবার টানা তৃতীয়বারের জন্য মাওয়াল আসনের জন্য মনোনয়নজমা দেওয়ার সময় ৫৮ বছরের শিবসেনা সাংসদ তাঁর হলফনামায় গর্বিতভাবে উল্লেখ করেছেন যে তিনি এখন এসএসসি পাস।
এই বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে কথা বলার সময় বার্নে বলেছেন, তিনি ১৯৮০ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন কিন্তু বিজ্ঞান বিষয়ে ফেল করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে যদিও আমি সাফল্যের স্বাদ পেয়েছি কিন্তু দশম শ্রেণির পরীক্ষায় আমার ব্যর্থতা এতো বছর ধরে তাড়া করে বেড়িয়েছে।’ আর তাই তিনি নিজের রাজনৈতিক যোগ্যতার পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্য়তাকে একটা উল্লেখযোগ্য অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য করোনা পরবর্তী ২০২২ সালে ফের এসএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন এবং পাসও করেন সসম্মানে।
ছোটোবেলায় বার্নে বাবাকে কৃষিকাজে সাহায্য করতেন এবং ১৯৯৭ সালে তিনি তার বড় ভাই হিরামন বার্নের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়েতে একজন কর্পোরেটর হওয়ার জন্য রাজনীতিতে আসেন। শিবসেনা তাঁকে জাতীয় স্তরে উন্নীত করার আগে তিনি ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় মিউনিসিপ্যালিটি কর্পোরেশনে সক্রিয় ছিলেন এবং তিনি প্রথমবার ২০১৪ সালে লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন এবং মাওয়াল থেকে জিতেছিলেন। ২০১৯ সালে উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের বড় ছেলে পার্থকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বার জিতেছিলেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে বার্নের ঘনিষ্ঠদের একজন উদয় আওয়াতে জানিয়েছেন, বার্নে সংসদ সদস্য হিসাবে দিল্লিতে গিয়ে নিজের শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন। তিনি সবসময় স্বীকারকরতেন যে ১৯৮০ সালের এসএসসির ব্যার্থতা তাঁকে বিব্রত করে। যদিও তাঁকে বহুবার সেরা সংসদ সদস্যের পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে তবুো খুশি ছিলেন না তিনি। সমস্ত রাজনৈচিক সাফল্যের মধ্যেও দশম শ্রেণিতে ফেলের জন্য লজ্জা বোধ করতেন তিনি।
কোভিডের সময় বার্নে এসএসসি পরীক্ষা পাস করার জন্য পড়াশোনা করছিলেন। উদয় আওয়াতে আরও জানিয়েছেন, তিনি পড়তে পছন্দ করতেন। আর এই অভ্যাসই তাঁকে ৫৮ বছর বয়সেও সহজে বিষয়গুলি উপলব্ধি করতে সাহায্য করেছিল। লকডাউন চলাকালীন তিনি প্রচুর পড়তেন এবং করোনা পর্ব শেষ হওয়ার পরেই তিনি পরীক্ষায় বসেন এবং পাস করেন।