'মমতা এ দেশেরই নয়, তিনি রোহিঙ্গা!' মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ অভিজিতের...
২৪ ঘন্টা | ২৫ এপ্রিল ২০২৪
কিরণ মান্না: বুধবার তমলুকের ডিমারিতে অভিজিৎ গাঙ্গুলীর সমর্থনে নির্বাচনে প্রচার সভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রাক্তন বিচারপতি।অভিজিৎ গাঙ্গুলি বলেন এই মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা আর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানি না, একজন মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে বলতে পারেন ভারতের বিচার ব্যবস্থা মানে বিজেপির বিচার ব্যবস্থা।এই মমতা ব্যানার্জি ভারতবর্ষের নাগরিক নাকি তিনি অন্য কোথাও থেকে এসেছেন? তিনি রোহিঙ্গা নন তো?
অভিজিৎ গাঙ্গুলি আরও বলেন, 'মমতা ব্যানার্জিকে নাক খত দিতে হবে। অনেক রায় শাসন ব্যবস্থার বিপক্ষে যায় কিন্তু কেউ কখনো বিচারব্যবস্থাকে ঘিরে এরূপ মন্তব্য করেনি। মমতা ব্যানার্জিকে আমি মুখ্যমন্ত্রী বলে মানি না।মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার যোগ্যতা হারিয়েছেন'। প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, তাকে সম্বোধন করলে মমতা ব্যানার্জি বলবেন। ফের বিচারপতির মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক। মঙ্গলবারও প্রচারে বেরিয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি রাজ্য সরকার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে নিশানা করেন। রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থাকে রাজ্য সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সোমবার একটি চাঞ্চল্যকর রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়ে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। শুধু তাই নয়, ওইসব শিক্ষকদের বেতনের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ওই রায়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কান ধরে ওঠবোস করার নিদান দিয়েছিলেন অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।হাজার হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়া নিয়ে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই রায়ের একটা প্রভাব ভোটে পড়া উচিত বলেই আমি মনে করি। কারণ পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে একেবারে দায়িত্ব নিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন মমতা। সব ছাত্র ছাত্রছাত্রীদের বাবা-মার কতো পয়সা নেই যে তারা লা মার্টিনিয়ারে গিয়ে পড়বে! তাদের সরকারি স্কুলেই পড়তে হবে। ওইসব স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থাটকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মমতা ধ্বংস করে দিয়েছেন। এনিয়ে মানুষ সচতেন হয়ে গিয়েছেন। আমি আশা করব এক একটা প্রভাব ভোটের উপরে পড়বে।