• তীব্র দাবদাহে পর্যটকশূন্য গজলডোবার ঝুলন্ত সেতু
    বর্তমান | ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • পবিত্র রায়, রাজগঞ্জ: বুধবার দুপুর আর পাঁচটা দিন থেকে অনেকটা আলাদা। জনপ্রিয় পর্যটনস্থল গজোলডোবায় সেই চেনা ভিড় নেই। অথচ মাসখানেক আগেও ভিড় উপচে পড়ত এখানে। ছবি বদলের সৌজন্যে চাঁদিফাটা গরম। এর জেরে মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের। 

    জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট শেষ হয়েছে সবে। সেকারণে এতদিন এই পর্যটনকেন্দ্রে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছিল। তার সঙ্গে দোসর হয়েছে গরম। সাধারণত প্রতি রবিবার ও ছুটির দিনগুলিতে সকাল থেকেই গজলডোবার ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় জমান পর্যটকরা। দুপুর গড়াতে না গড়াতে ঝুলন্ত সেতুতে ছবি তোলার হিড়িক শুরু হয়ে যায়। চলে গানের তালে তালে রিলস বানানো। পরিবার নিয়ে সময় কাটানোর জন্য অন্যতম প্রিয় জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে গজলডোবা। কিন্তু এই হাসফাঁস গরমে সেসব অতীত। উত্তম রায় নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, প্রচণ্ড রোদ ও গরমে টিকে থাকা যাচ্ছে না। এর জেরে পর্যটকশূন্য এলাকা। ব্যবসা নেই বললেই চলে। পয়লা বৈশাখে প্রচুর ভিড় হয়েছিল। এখন দিনে দশজন পর্যটকও আসছেন না। 

    তিস্তা ব্যারেজের পাশে চিংড়ির চপ বিক্রি করেন মালতি বিশ্বাস। তাঁর কথায়, তিস্তার পাড়ে বসে চিংড়ি ও বিভিন্ন ধরনের মাছ ভাজার স্বাদ নিতে আসেন পর্যটকরা। কয়েক দিন ধরে গরম পড়ায় সেভাবে পর্যটক আসছেন না। তাই ব্যবসাও নেই। পাশেই রয়েছে নৌকাবিহারের ব্যবস্থা। পরিমল বিশ্বাসের কথায়, পর্যটক না আসায় নৌকাবিহার বন্ধ করে বসে থাকতে হচ্ছে। প্রায় ১০০টি নৌকা ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত। প্রতিটিরই একই অবস্থা। ফলে তীব্র দাবদাহের ফলে নিজেদের চেনা স্বরূপ হারিয়ে একাকী গজলডোবা পর্যটনকেন্দ্র।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)