• দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপি নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না কেন?
    বর্তমান | ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • অনিমেষ মণ্ডল, আউশগ্রাম: কেষ্ট খুব ভালো সংগঠক। বীরভূম জেলাটা হাতের মুঠোয় রাখত। মঙ্গলবার হাসনের পর বুধবার বোলপুর লোকসভার আউশগ্রামের জনসভায় ফের অনুব্রতর পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে বিজেপিকে তুলোধনা করে তাঁর মন্তব্য, বিজেপির অনেক নেতা দুর্নীতিপরায়ণ, মার্ডার কেস আছে। কেন তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? তারা কেন জেলের বাইরে? ভরা জনসভায় তিনি বলেন, কেষ্টকে আপনারা কত ভালোবাসতেন! সে মাটির ছেলে। কোনও গবিব মানুষ ওর কাছে গেলে, কাউকে কোনওদিন ফেরাত না। কী দোষ করেছে কেষ্ট, আমি জানি না। কেসে কী আছে তাও আমি জানি না। আইন আইনের পথেই চলবে। কেষ্ট কী দুর্নীতি করেছে তাও জানি না।

    এদিন ফের জনসভা থেকে দলনেত্রী অনুব্রত মণ্ডলের প্রশংসা করায় আপ্লুত বীরভূম জেলার নেতারা। তাঁরা ভোটের আগে উজ্জীবিত হয়েছেন। বীরভূমের এক বিধায়ককে এদিন বলতে শোনা যায়, আমরা অনুব্রত মণ্ডলের দেখানো পথেই ভোটে লড়াই করব। প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রামের পর্যবেক্ষক ছিলেন অনুব্রত। এদিন মমতা বলেন, প্রতি ভোটে কেষ্টকে নজরবন্দি করত। যাতে সে ভোটের দিনগুলিতে না বের হতে পারে। এরপর সভামঞ্চে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে দেখিয়ে মমতা বলেন, চাঁদুর বাড়িতেও রেড হয়েছে। রোজ কোনও না কোনও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার বাড়িতে রেড হচ্ছে। আর বলছে হয় বিজেপিকে ভোট দাও, নয় তো ইনকাম ট্যাক্স নাও, ইডি নাও। আমাকেও ইনকাম ট্যাক্স চিঠি দিচ্ছে রোজ। ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই। আমি প্রশাসনিক সভায় বীরভূম গিয়ে দেখেছি, কেষ্ট জেলার উপর কেমন নজর দিত। 

    এদিন আউশগ্রামের সভায় বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান জেলার বিধায়ক সহ নেতারা ছিলেন। তাঁদের দেখে মমতা বলেন, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান মিলেমিশে একাকার। আমরা দেউচা পাচামি করছি। যাতে ১০০ বছর বিদ্যুতের ঘাটতি না হয়। আগামী দিনে বাংলা সারা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। বাংলাকে কারও কাছে হাত পাততে হবে না। সেখানে এক লক্ষ বেকারের চাকরি হবে। বর্ধমান, বীরভূম, আসানসোল, দুর্গাপুরের ছেলেরাই তো পাবেন। পানাগড় থেকে কোচবিহার ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর হচ্ছে। দু’পাশ দিয়ে শিল্প গড়ে উঠছে। তাছাড়া ডানকুনি থেকে পানাগড় হয়ে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর যাবে। সেটাও আরএকটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর করা হচ্ছে। মোট কথা বিজেপিকে হারাতে হবে। আমি যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হতে দেব না। এরপর বোলপুরের দলীয় প্রার্থী অসিত মালের হাত ধরে সভায় বলেন, অসিত একজন নিপাট ভদ্রলোক। আমাদের প্রার্থী। ওকে জেতাতে হবে। 

    বিজেপি ক্ষমতায় এলেই আপানাদের মাছ, ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেবে। এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, বাংলায় ৩৫০টি কমিশন পাঠিয়েছে। তবু ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি। আমরা কর্মসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ দিনের কাজ দেব। দিল্লিতে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া আদায় করতে গিয়ে আমাদের সাংসদদের সারারাত থানায় আটকে রেখেছিল। ঐক্যশ্রী বন্ধ করে দিয়েছে। তাই মা-বোনেদের বলছি দেশ থেকেই বিজেপিকে উৎখাত করতে হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)