• বোলপুরে গুড়-বাতাসা, নকুলদানা বিলি ‌উজ্জ্বীবিত তৃণমূল কংগ্রেসের
    বর্তমান | ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • ইন্দ্রজিৎ রায়, বোলপুর: ‘নির্বাচনের পরেই ছেড়ে দেবে কেষ্টকে’- মঙ্গলবার হাসনের নির্বাচনী সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এই কথায় বীরভূমে উজ্জীবিত তৃণমূল। তার প্রতিফলনও দেখা গেল বুধবার। প্রিয় কেষ্টদার ফিরে আসার উন্মাদনায় মাতলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। এদিনের অনুব্রত মণ্ডলের স্টাইলে চড়াম চড়াম ঢাকের বাদ্যিতে গুড় বাতাসা ও নকুলদানা বিলি করতে দেখা গেল বোলপুর শহরের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। এ যেন ‘দাদা’ ফিরে আসার কাউন্টডাউন শুরু করল জেলা তৃণমূল। 

    উল্লেখ্য, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে গোরু পাচার মামলায় তদন্তে অসহযোগিতার করার অভিযোগ উঠেছিল। তার প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১১ আগস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির নিজের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তাঁর গ্রেপ্তারের পরপরই বীরভূম জেলার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা একপ্রকার ম্রিয়মাণ হয়ে পড়েন। প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে অভিভাবকহীন থাকার প্রভাবও বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে দেখা গিয়েছে। ‌প্রচার কার্যত ঝিমিয়ে পড়েছিল। তবে তিনি ও দল যে পাশে আছেন সেই আশ্বাস বারবারই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারও তার পুনরাবৃত্তি করে ফের একবার তিনি জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের পাশেই আছেন। নির্বাচনী প্রচারের আবহে মঙ্গলবার বীরভূমের হাসনে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘কেষ্ট আর ওর মেয়েকে ইচ্ছা করে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে। কিন্তু দেখবেন নির্বাচনের পরই ওকে ছেড়ে দেবে। ওকে ইচ্ছা করে আটকে রাখা হয়েছে। যাতে ও তৃণমূল করতে না পারে। নির্বাচনের আগে যাতে ও বের হতে না পারে, সেজন্যই বিজেপির এই ষড়যন্ত্র’। 

    তবে নির্বাচনের পর অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমে ফিরে আসবেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাসবাণীতে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মনে যেন জাদু খেলে যায়। সেই উন্মাদনা জেলার প্রতি প্রান্তে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কথায় উজ্জীবিত হয়ে এদিন বোলপুর শহরে পথচলতি মানুষের মধ্যে গুড় বাতাসা, নকুলদানাও বিলি করা হয়। সেই সঙ্গে তৃষ্ণার্তদের জলপানের ব্যবস্থাও ছিল। তৃণমূলের বোলপুর শহর সভাপতি সুকান্ত হাজরার নেতৃত্বে এই আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, কেষ্টদাকে অন্যায়ভাবে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে আমাদের নেত্রী দাদার ফিরে আসার যে আশ্বাস দিয়েছেন, তাতে আমরা রীতিমতো উজ্জীবিত। দাদার অনুকরণে প্রবল গরমে পথ চলতি সাধারণ মানুষকে ঠান্ডা জলপান করানোর সঙ্গে গুড়-বাতাসা ও নকুলদানাও বিলি করেছি। এই আশ্বাসের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। দাদা কবে ছাড়া পাবেন, তার দিন গোনা শুরু করেছি।  যদিও বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা দিবাস্বপ্ন দেখছেন। তবে স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে যাবে। বাস্তব হবে না।   (উপরে) তৃণমূল কর্মীদের উচ্ছ্বাস। (নীচে), গুড় বাতাসা। 
  • Link to this news (বর্তমান)