• প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও মানুষের উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনাই আমার এনার্জি, দাবি ইউসুফের
    বর্তমান | ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • তাপস ঘোষ, নওদা: তীব্র দাবদাহ ও গরম সত্ত্বেও মানুষের উচ্ছ্বাস, উন্মাদনাই আমার এনার্জি। ক্রিকেটের ময়দানে ছক্কা হাঁকানোর মতোই রাজনীতির অচেনা ময়দানে এ যেন ‘পাঠান-পাঞ্চ’। একজন দক্ষ রাজনীতিকের মতোই সাবলীল উত্তর বহরমপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের। বুধবার সকাল থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। দিনভর তাপপ্রবাহ শাসন করেছে মুর্শিদাবাদকে। যদিও তারই মধ্যে তপ্ত দুপুরে রোদ মাথায় নিয়ে নওদা ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতে দাপিয়ে রোড শো করলেন ইউসুফ। তাঁকে একবার দেখার জন্য রাস্তায় যুবক থেকে মহিলা, সকলে ভিড় জমান। সারা দিনের ঘাম ঝড়ানোর প্রচার করে দুপুরের খাবার খেলেন সন্ধ্যা ৬টায়। তা দেখে অনেকেই বলাবলি করছিলেন, এটাই ‘পাঠান-পাওয়ার’।

    এদিন সকাল ৯টা থেকে প্রচার শুরু হয় নওদা ব্লকের বালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের আছাইনগর এলাকা থেকে। আছাইনগরে সকাল ৮টা থেকেই তৃণমূল সমর্থকরা ইউসুফের অপেক্ষায় বসেছিলেন। তাঁর কনভয় ঢুকতেই সমর্থকদের উৎসাহ দ্বিগুণ মাত্রায় বেড়ে যায়। সেখান থেকে রোড শো যত এগিয়েছে সমর্থকদের উপস্থিতি চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়েছে। এরপর রোড শো হরিকানা ঢোকার আগে গ্রামের রাস্তার দু’পাশে উৎসাহী মানুষের ঢল নামে। দুপুর সাড়ে ৩টেয় বালি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চারাতলা থেকে শুরু হয় এদিনের তৃতীয় দফার রোড শো। ইউসুফের প্রচার র‍্যালি তখন সময়ের থেকে দু’ঘণ্টা পিছিয়ে। কিন্তু কেউ ধৈর্য্য হারাননি। মাথার উপর প্রখর সূর্যের তাপ নিয়েই ঘণ্টার পর ঘণ্টা গ্রামের মানুষ ফুল হাতে দাঁড়িয়েছিলেন। তপ্ত দুপুরে মানুষের ধৈর্য্য, উৎসাহ দেখে আপ্লুত ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা। 

    এদিন বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ চতুর্থ রোড-শো হওয়ার কথা ছিল কেদারচাঁদপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের এলিটনগরে। তার আগে ত্রিমোহনী মেলা উদ্বোধনের সময় নির্দিষ্ট ছিল। কিন্তু মানুষের আবদার মেটানো সহ শিবনগর ক্রিকেট মাঠে যুবকদের সঙ্গে ত্রিকেট খেলতে গিয়ে চতুর্থ রোড-শোয়ের সময় তিন ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছিল। আইপিএলে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক ইউসুফের জন্য দুপুর ২টো থেকে নিজের হাতে গাঁদা ফুলের মালা গেঁথে অপেক্ষা করছিলেন বছর উনিশের যুবক নুর আলম শেখ। রোড-শো পৌঁছতে তিন ঘণ্টা দেরি হলেও তিনি বিরক্ত হননি। কেদারচাঁদপুর-১ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মেহেবুব শেখ বলেন, মানুষের অপেক্ষা স্বাভাবিক। তৃণমূল আসার পর বিরোধীরা কেউ নওদায় দাঁত ফোটাতে পারেনি। মুর্শিদাবাদে যিনি নিজেকে বেতাজ বাদশা ভাবতেন, তাঁকে বালি পঞ্চায়েতে গিয়ে মানুষের বিক্ষোভের সামনে পড়তে হয়েছে। 

    নওদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সফিউজ্জামান শেখ বলেন, নওদা তৃণমূলের হাতের মুঠোয়। বিরোধীরা কেউ এখানে হালে পানি পাবে না। বুধবারের চারটি রোড শোয়ে মানুষের ঢল, উচ্ছ্বাস বিরোধী শিবিরে চিন্তা ধরিয়েছে। নওদা থেকে এবার আমরা ব্যাপক ভোটে লিড দেব। বুধবার দিনভর নওদায় প্রচারে একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে গেলেন।
  • Link to this news (বর্তমান)