• আবাসের টাকা দিতে নয়া পোর্টাল তৈরি করছে রাজ্য
    বর্তমান | ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • প্রীতেশ বসু, কলকাতা: কেন্দ্র টাকা না দিলে আবাস যোজনার ১১ লক্ষ উপভোক্তার বাড়ি তৈরির টাকা দেবে নবান্ন। বাজেটেই একথা জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য। ১০০ দিনের কাজের পাশাপাশি আবাস যোজনায়ও বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার। প্রতিটি নির্বাচনী সভায় আবাস যোজনা নিয়ে ঝড় তুলছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন বাড়ি তৈরির গ্যারান্টি। নির্বাচন মিটলেই এই প্রতিশ্রুতি পূরণের কাজ শুরু করতে এখন থেকেই কোমর বাঁধতে শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। তৈরি  রাখা হচ্ছে একটি পৃথক পোর্টাল। এই পোর্টালের মাধ্যমে বঞ্চিত আবাস উপভোক্তাদের বাড়ি তৈরির টাকা দেবে রাজ্য। 

    এক আধিকারিক জানান, এই প্রকল্প পূর্বঘোষিত। ফলে নির্বাচনের সময় প্রস্তুতির কাজ চালাতে কোনও বাধা নেই। এখন পোর্টাল থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির কাজ সেরে রাখা হচ্ছে। ভোট মিটলেই যাতে কাজ শুরু করে দিতে পারা যায়, তার জন্য প্রস্তুতি সেরে রাখছে সরকার। 

    ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্র ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির প্রশাসনিক সম্মতি দেওয়ায় রাজ্যব্যাপি উপভোক্তাদের যাচাই পর্ব চালায় পঞ্চায়েত দপ্তর। তখনই তৈরি হয় চূড়ান্ত তালিকা। তাহলে তালিকাভুক্ত উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো ছাড়া ভোট মিটলে আর নতুন কী কাজ থাকতে পারে রাজ্য সরকারের? সূত্রের খবর, টাকা দেওয়ার আগে ফের একবার উপভোক্তাদের বর্তমান পরিস্থিতি যাচাই করে নেওয়া হবে। কারণ, শেষবার যাচাইয়ের পর কেটে গিয়েছে প্রায় দেড় বছর। এই সময়কালে অনেকে টাকাপয়সা জোগাড় করে বাড়ি তৈরি করে ফেলেছেন। অনেকে হয়তো অন্যত্র চলে গিয়েছেন। এসব দিক খতিয়ে দেখে তবেই টাকা ছাড়া হবে, যা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। সেই কারণে ডিসেম্বর মাসে রাজ্য বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা ছাড়বে বলে জানিয়েছেন মমতা। সূত্রের খবর, এই পোর্টালের কার্যকারিতা নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও সেরে ফেলেছেন পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিকরা। প্রশাসনিক মহলের ব্যাখ্যা, বর্তমানে মোদি-মমতার ‘গ্যারান্টি’ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সেক্ষেত্রে আবাসের টাকা দেওয়ার জন্য রাজ্য প্রশাসনের এই তৎপরতা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। 

    অন্যদিকে, ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পের অধীনে প্রয়োজনে ৬০ দিনের কাজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। আগে থেকেই চালু ছিল এই প্রকল্পের পোর্টাল। এবার তাতে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতেই পর্যালোচনার কাজ চালাচ্ছেন দপ্তরের আধিকারিকরা। 
  • Link to this news (বর্তমান)