এই সময়: বাংলার ভোটে এর আগে বিতর্ক তুলেছিল তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গুড়-বাতাসা, নকুলদানা খাওয়ানোর নিদান। এখন আরও একটা ভোট চলছে। তবে এ বার সেই অনুব্রত ওরফে কেষ্ট মণ্ডল তিহাড় জেলে বন্দি। তা সত্ত্বেও বাতাসা-বিতর্ক এ বার ফিরল বঙ্গ রাজনীতির নির্বাচনী রঙ্গে। এ বারের বিতর্ক অবশ্য সিপিএমকে নিয়ে।গত কয়েক দিন ধরে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের নির্বাচনী প্রচার উপলক্ষে এসএফআই, ডিওয়াইএফআইয়ের তরফে বাঘাযতীন, যাদবপুর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে বাতাসার জল বিলি করা হচ্ছে। সিপিএমের বক্তব্য, ওই মিষ্টি জল বিলির লক্ষ্য হলো এই প্রচণ্ড গরমে মানুষের তেষ্টা মেটানো।
কিন্তু ‘কোল্ড ড্রিঙ্ক’ খাইয়ে ভোটারদের সিপিএম প্রভাবিত করতে চাইছে, এমন অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল।বাঘা যতীনের একটি ক্যাম্পে সোমবার সৃজন বেশ কয়েক জনকে নিজের হাতে বাতাসার জল তুলে দেন। এই কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তথা এসএফআই কর্মী অনঞ্জনা দত্ত বলেন, ‘বাতাসার জল শরীর ঠান্ডা করে। ছ’কেজি বাতাসা গত তিন দিনে এই জলসত্রে কাজে লেগেছে। আমরা প্রায় ১০০ লিটার জল মানুষকে দিয়েছি।’
তবে যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের প্রচারে থাকা নেতা-কর্মীদের অনেকে মনে করছেন, এটা সফ্ট ড্রিঙ্ক খাইয়ে ভোট পাওয়ার কৌশল। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো তৃণমূল নেতা সিদ্ধার্থ শঙ্কর করের বক্তব্য, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনও রকম খাদ্য-পানীয় খাইয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা যায় না। সৃজনবাবু ও তাঁর দলের লোকজন সেটাই করছেন।’ বামপ্রার্থী সৃজনের বক্তব্য, ‘তৃণমূল আসলে ওরা ভয় পেয়েছে। মানুষকে এই গরমে একটু বাতাসার জল খাইয়েছি! তাতেও ওদের আপত্তি?’
এদিকে, তীব্র গরমে পুড়ছে গোটা বঙ্গের বেশকিছু জেলা। কলকাতার পাশাপাশি গোটা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন দেলায় রয়েছে তীব্র দাবদাহ। পরিস্থিত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান ও ঝাড়গ্রামে।