প্রতিযোগিতার মাঝেই আচমকা হার্ট অ্যাটাক! শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতে পাড়ি দিতে গিয়ে সাঁতারুর মৃত্যু
এই সময় | ২৫ এপ্রিল ২০২৪
জলই ছিল তাঁর বন্ধু। অদম্য জেদের বশেই বয়সের কাছে হার মানেননি। সাঁতার ছিল তাঁর অন্যতম ভালোবাসা-নেশা থেকে পেশা সবটাই। সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশও নিয়েছিলাম। তবে এমন একটা মর্মান্তিক পরিণতি হবে এখনও ভাবতে পারছেন তাঁর সহ প্রতিযোগীরা। হার্ট অ্যাটার্কে প্রয়াত বেঙ্গালুরুর সেপ্টাজেনেরিয়ান (যাঁর বয়স ৭০ থেকে ৭৯-এর মধ্যে) সাঁতারু গোপাল রাওয়ের। শ্রীলঙ্কার থালাইমান্নার থেকে তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমের ধানুশকোডি দ্বীপ পর্যন্ত একটি সাঁতার ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ইভেন্টের মাঝেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।গোপাল রাও সাঁতারুদের একটি দলের সদস্য ছিলেন। ওই সাঁতারুদের দল এক সাঁতার ইভেন্টের আয়োজন করেছিল। সেই ইভেন্টেই অংশ নিয়েছিলেন গোপাল। ইভেন্ট চলাকালীন হার্ট অ্যাটার্কে আক্রান্ত হন তিনি। সাঁতারুরা পাক স্ট্রেইট পেরিয়ে শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতে রিলে সাঁতারের ইভেন্ট শুরু করেছিল।
২২ এপ্রিল রামেশ্বরম থেকে নৌকায় চেপে রওনা হন সাঁতারুরা। এরপর ২৩ এপ্রিল বেলা ১২টা ১০ নাগাদ শ্রীলঙ্কার থালাইমান্নার থেকে ধানুশকোডির দিকে সাঁতার শুরু করেন তাঁরা। গোপাল রাও ছিলেন লাইনআপের তৃতীয় সাঁতারু । দুপুর ৩টে নাগাদ আচমকাই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। বুকে ব্যথা অনুভব করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। নৌকাতেই শুরু হয় প্রাথমিক চিকিৎসা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রতিযোগীর এহেন আকস্মিক মৃত্যুতে নেমে আসে শোকের ছায়া। বাতিল করা হয় ইভেন্ট। বাকি সাঁতারুরা রিলে ইভেন্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। নৌকায় করে ধানুশকোডি দ্বীপে ফিরে আসেন তাঁরা। গোপালবাবুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রামেশ্বরম টাউন পুলিশ এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে জানা গিয়েছে, সাঁতারুরা ভারত এবং শ্রীলঙ্কা উভয় দেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত অনুমতি নিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভারতীয় শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য তাঁরা ভারতের তেলেঙ্গানা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে এক দুর্ঘটনায় তারা প্রাণ হারান। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার রাতে পেওরিয়া এলাকায় তাঁদের গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় অন্য একটি গাড়ির। নিভেস মুক্কা এবং গৌতম কুমার পারসি উভয়ের বয়স ১৯ বছর। করিমনগর জেলার হুজুরাবাদ শহরের বাসিন্দা ছিলেন নিভেশ। অন্যদিকে গৌতম কুমার ছিলেন জানগাঁও জেলার ঘনপুর স্টেশনের বাসিন্দা। দু'জনেই কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করছিলেন অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে।